চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে রাতে হঠাৎ মসজিদে মসজিদে আজানের ধ্বনি শোনা গেছে। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০টা থেকে ১২টা পর্যন্ত বেশিরভাগ মসজিদের মুয়াজ্জিনের কণ্ঠে ভেসে আসে আজানের সুমধুর ধ্বনি।
প্রথমে একজনেরটা শুনে অন্যরা আজান দিলেও কী কারণে এমনটি হয়েছে সে বিষয়ে কেউ সঠিক কোনো তথ্য দিতে পারেননি।
ঢাকায় বসবাসরত হাজীগঞ্জের বাসিন্দা ইমাম হোসেন ইমন ফোন করে যুগান্তরকে জানান, তিনি শুনেছেন– হাজীগঞ্জ উপজেলার জগন্নাথপুর গ্রামে নাকি বৃহস্পতিবার সকালে একটি শিশু জন্ম নিয়ে মারা গেছে। সে শিশু নাকি বলেছে আজান দিতে।
বিষয়টির সত্যতা জানতে ওই গ্রামে বেশ কয়েকজনের সঙ্গে কথা বললে তারা জানান, এটি গুজব। এ ঘটনা সত্য নয়।
হাজীগঞ্জ ঐতিহাসিক বড় মসজিদ কর্তৃপক্ষ জানায়, এটি গুজব। আমরা আজান দিইনি।
উপজেলার ৯নং গন্ধর্ব্যপুর উত্তর ইউনিয়নের মোহাম্মদপুর পূর্বপাড়া জামে মসজিদের খতিব শাহ আলম আল কাদরী ও কাকৈরতলা সিনিয়র মাদ্রাসার সাবেক উপাধ্যক্ষ আবদুল মমিন ফারুকি জানান, আমরা কোনো নির্দেশনা পাইনি। আর শরিয়তে এমন কোনো কাজ করার বৈধতাও দেখি না। এটি গুজব হবে।
একই গ্রামের মুন্সিবাড়ি মসজিদের ইমাম জানান, তাকে কোনো এক হুজুর আজান দিতে বলেছেন। তাই তিনি সে মোতাবেক আজান দিয়েছেন। তবে তিনি বলেছেন, করোনাভাইরাস থেকে রক্ষা পেতে আজান দেয়া হয়েছে।
হাজীগঞ্জ থানার ওসি আলমগীর হোসেন রনি যুগান্তরকে বলেন, ‘আমরা কোনো নির্দেশনা পাইনি। তবে আজানের কথা শুনেছি। রাত ১০টা থেকে বিভিন্ন মসজিদে হঠাৎ আজান দেয়া হয়েছে।
এদিকে ইসলামী ফাউন্ডেশন অথবা উপজেলা প্রশাসন এ বিষয়ে কোনো তথ্য দিতে পারেনি। তারা বলেছেন এটি গুজব।
সুত্র-যুগান্তর