চাঁদাবাজীর মামলায় অনলাইন নিউজ পোর্টাল গাংনীর চোখ’র সম্পাদক সেই রাব্বী আহম্মেদের জামিন আবেদন না মঞ্জুর করে জেল হাজতে প্রেরণের নির্দেশ দিয়েছেন বিজ্ঞ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালতের বিজ্ঞ বিচারক তরিকুল ইসলাম।
রাব্বী আহম্মেদ গাংনী উপজেলার চরগোয়ালগ্রামের সাইদ আহম্মেদের ছেলে। রোববার বিকালে বিজ্ঞ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালতের বিজ্ঞ বিচারক তরিকুল ইসলাম তাকে জেল হাজতে প্রেরণের আদেশ দেন।
মেহেরপুর সদর উপজেলার পিরোজপুর গ্রামের আব্দুস সাত্তারের ছেলে আসান উদ্দীন বাদী হয়ে গাংনী উপজেলার বামন্দীর জোছনা রানী ওরফে বিথীকে ১ নং আসামী করে চার জনের নামে চাঁদাবাজীর অভিযোগে একটি মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং ১৭। তারিখ ২৪/০৫/২০২১ইং।
মামলায় এজাহার নামীয় ৪ জন আসামী থাকলেও পরবর্তিতে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবান বন্দীতে বাদী ও একজন আসামী চরগোয়ালগ্রামের সাইদ আহম্মেদের ছেলে রাব্বী আহম্মেদ, বাওট গ্রামের আনোয়ার হোসেনের ছেলে মিনারুল ইসলাম ও নওদা ছাতিয়ান গ্রামের আলতাব হোসেনের ছেলে সজল হোসেনের নাম বলেন। পরে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা চার্জশীটে রাব্বী আহম্মেদ কে ওই মামলার ৬ নং আসামী হিসেবে যুক্ত করেন।
এামলার এজাহারে জানা যায়, বামন্দী বাজারের মতি লালের মেয়ে জোছনা রানী দাশ ওরফে বিথী মামলার বাদী আসান মোল্লাকে মোবাইল ফোনে ডেকে নিয়ে একটি ঘরে আটকিয়ে মারধর করেন।
এসময় তার কাছে থাকা টাকা পয়সা ও মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেন। পরে ভয়ভীতি দেখিয়ে তার কাছ থেকে মোটা অংকের চাঁদা দাবী করেন। এসময় সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে রাব্বী আহম্মেদ ও মিনারুল ইসলাম তার কাছে চাঁদা দাবী করেন।
একই সময়ে রাব্বী আহম্মেদের নামে মটমুড়া ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ডের সদস্য চরগোয়ালগ্রামের মিলন হোসেন, রামনগর গ্রামের মোটরসাইকেল মেকার জান্নাত চাঁদাবাজীর অভিযোগ এনে আদালতে মামলা দায়ের করেন।
আসামী পক্ষে আইনজীবি ছিলেন অ্যাডভোকেট খন্দকার আব্দুল মতিন ও রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন কোর্ট ইন্সপেক্টর গোলাম মোহাম্মদ।