এবার বোরো মৌসুমে ধানের বাম্পার ফলন হওয়ার পরও কেউ যদি চালের মূল্যবৃদ্ধির চেষ্টা করেন তাহলে সরকার কঠোর অবস্থানে যাবে। প্রয়োজনে সরকারিভাবে চাল আমদানি করা হবে বলেও জানান খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।
বুধবার (১ জুলাই) মন্ত্রীর মিন্টো রোডের সরকারি বাসভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হয়ে এক সেমিনারে একথা বলেন তিনি। সভার সমন্বয় ও সঞ্চালনা করেন খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মোসাম্মৎ নাজমানারা খানুম।
সভায় উপস্থিত ছিলেন দেশের আট বিভাগের বিভাগীয় কমিশনার, বিভাগীয় চালকল মালিক সমিতির দুজন করে প্রতিনিধি, খাদ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক, আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক, খাদ্য মন্ত্রণালয় ও অধিদফতরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
চালকল মালিকদের উদ্দেশ্যে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, চালের বাজার স্থিতিশীল রাখেন, সরকারের সঙ্গে করা চুক্তি অনুযায়ী গুদামে চাল সরবরাহ করেন, যদি তা না করেন তবে সরকার চাল আমদানিতে যেতে বাধ্য হবে।
মন্ত্রী আরও বলেন, করোনাকালীন সবাই বিপদগ্রস্ত। এবার না হয় লাভ একটু কম করলেন। প্রত্যেক বার লাভ সমান হয় না। এবার মানুষকে সেবা করার সুযোগ রয়েছে। সেবার মানসিকতা নিয়ে এগিয়ে আসুন। ২০১৭ সালের কথা স্মরণ করিয়ে তিনি বলেন, খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে মিল মালিকদের একটা আত্মার সম্পর্ক রয়েছে।
২০১৭ সালে হাওড়ে বন্যার সময় সরকারিভাবে চাল সংগ্রহ বাধাগ্রস্ত হলে সরকার চাল আমদানির ওপর ট্যাক্স ফ্রি করে দিয়েছিল ফলে ৪০ লাখ মেট্রিক টন চাল বিভিন্নভাবে আমদানি করা হয়। সে কারণে সেই বছর মিল মালিক এবং কৃষক উভয় চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল।
তিনি বলেন, কৃষক বাঁচলে ধান উৎপাদন হবে এবং আপনারা চালকল মালিকরা বেঁচে থাকবেন। কৃষক যাতে বিপাকে না পড়ে, বিশেষ করে প্রান্তিক কৃষক যেন ধানের ন্যায্যমূল্য পায় সেজন্য এবার আট লাখ মেট্রিক টন ধান কেনার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, যেহেতু খাদ্য মন্ত্রণালয় ও অধিদফতরের সঙ্গে আপনাদের ব্যবসা সবসময় করতে হবে, লাভ বেশি হলে চাল সরবরাহ করবেন, লাভ কম হলে চাল সরবরাহ করবেন না- এটা হতে পারে না।
সূত্র- ইত্তেফাক