মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার শালদাহ গ্রামে খাবারে বিষক্রিয়ায় একই পরিবারের পাঁচ জন অসুস্থ হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মোমিনুল ইসলাম (৬০) নামের এক বৃদ্ধের রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার সন্ধা ৭ টার দিকে তার মৃত্যু হয়। নিহত মোমিনুল ইসলামের পরিবার থেকে খাবারে বিষক্রিয়া ও চিকিৎসার অবহেলায় মৃত্যু হয়েছে এমন দাবী করলেও চিকিৎসক বলছেন স্ট্রোক হয়ে তার মৃত্যু হয়েছে।
বিষক্রিয়া অসুস্থরা হলেন, মৃত মোমিনুল ইসলামের স্ত্রী সাহেরা বেগম(৫৫) ছেলে শামিম রেজা সুমন(৩৫), সুমনের স্ত্রী মমতাজ(৩০) ও ছেলে গালিব (৬)।
শামীম রেজা সুমন বলেন, গতকাল সোমবার রাত ১০ টার সময় পরিবারের সকলে মাছ ও মাংস দিয়ে ভাত খাওয়ার পর ঘুমিয়ে পড়ি। ভোর খেকে বাড়ির সকলের পাতলা পায়খানা শুরু হলে আজ মঙ্গলবার সকালে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সকলে ভর্তি হই। আমি, আমার মা, স্ত্রী ও সন্তান কিছুটা সুস্থতা বোধ করলেও আমার বাবার অবস্থা ধীরে ধীরে অবনতি হয়। আমি অসুস্থ অবস্থায় ডিউটিতে থাকা ডাক্তারের কাছে বার বার বিষয়টি জানালেও ডাক্তার আমার বাবার বিষয়টি গুরুত্ব দেয়নি। সন্ধা সাড়ে ৭ টার সময় আমার বাবার মৃত্যু হয়। চিকিৎসায় অবহেলায় মৃত্যু হয়েছে বলেও দাবী করেন তিনি।
হাসপাতালের জরুরী বিভাগের চিকিৎসক সামসুজ্জোহা বলেন, একই পরিবারের ৫জন খাদ্য বিষক্রিয়াজনীত কারনে ভর্তি হলেও বৃদ্ধ মোমিনুল ইসলামের মৃত্যু হয় স্ট্রোক জনীত কারনে।
গাংনী উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ফারহানা ইয়াসমিন বলেন,মোমিনুল ইসলাম আমার খুবই নিকট আত্নীয়। গতরাতে খাবার খেয়ে সকলে অসুস্থ অবস্থায় গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হলে আমি তাদের দেখতে যায়।তারা সকলেই সুস্থ ছিলো। দুপুরের পর মোমিনুল ইসলামের অবস্থা অবনতি হলে আমি ডাক্তারের সাথে কথা বলি। তারা আমার কথায় গুরুত্ব দেননি। চিকিৎসায় অবহেলার কারনে মোমিনুল ইসলামের মৃত্যু হয়েছে। তিনি আরও বলেন ওই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে আইনের আশ্রয় নেব।
গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার( আরএমও) বলেন, মৃত ব্যক্তি মমিনুল ইসলামের অনেক বয়স হয়েছে যে কারণে তিনি অনেকটা নার্ভাস হয়ে পড়েন। পরে তিনি স্ট্রোক হয়ে মারা গেছেন। চিকিৎসকের অবহেলার বিষয়টি নিয়ে তিনি বলেন চিকিৎসকের অবহেলা আছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হবে।
গাংনী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবদুর রাজ্জাক বলেন, এবিষয়ে আমি এখন পর্যন্ত অবগত নই, অভিযোগ পেলে বিষয়টি খতিয়ে দেখে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।