চুয়াডাঙ্গার দর্শনা কেরু এ্যান্ড কোম্পানী চিনিকল খামারে ২০২৩-২৪ আখ রােপন মৌসুমের উদ্বােধন করা হয়েছে।
আজ শুক্রবার সকাল সাড়ে ৮টায় দামুড়হুদা উপজেলার লোকনাথপুর গ্রামের আখ চাষী গোলাম সরওয়ার লিপুর ১ একর জমিতে ও রঘুনাথপুর গ্রামের চাষী শরিফুলের ৫০ শতক জমিতে আখ রোপন করে মৌসুমের উদ্বোধন করেন বাংলাদশ চিনি খাদ্য শিল্প কর্পোরেশনের প্রধান টেকনিক্যাল সার্ভিস (টিএস) ড. জেবুন নাহার ফেরদৌস।
এ সময় তিনি বলেন কতৃপক্ষের সুদক্ষ নির্দেশনায় কার্যক্রম চলছে তবে আখের ফলন বাড়াতে হলে নিয়মিত সেচ দিতে হবে। আখের আধুনিক প্রযুক্তি ব্যাবহার করে ফলন বাড়াতে হবে। আখের ফলন বাড়ালে লাভবান হবে চাষী। বেশি বেশি করে আখ লাগান চিনি শিল্পকে বাচিয়ে রাখুন। আমরা বর্তমানে যে আখের মূল্য দিয়েছি সে মূল্যয়নকে মৃল্য দিয়ে মিলটিকে টিকিয়ে রাখুন।
এ উদ্বোধনের সময় উপস্থিত ছিলেন কেরু এ্যান্ড কোম্পানীর সুযোগ্য ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ মােশারফ হােসেন, ব্যবস্থাপনা পরিচালক (কৃষি) আশরাফুল আলম ভুঁইয়া, উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক (কৃষি) মাহবুবুর রহমান, কেরুজ বানিজ্যিক খামারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুমন কুমার শাহা, সাব- জোন প্রধান আবু তালহা, ফুরশেদপুর খামারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইমদাদুল হক, আখচাষী কল্যাণ সমিতির সভাপতি আব্দুল হান্নান সাধারন সম্পাদক আঃ বারী,প্রমুখ।
কেরু এ্যান্ড কোম্পানীর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ মোশাররফ হোসেন বলেন, চিনি কারখানার লােকসান কমাতে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। এবার আখ রােপন মৌসুমে বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প কর্পোরেশন থেকে লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে ৭ হাজার একর জমিতে আখ রোপন করতে হবে। এর মধ্যে কেরুর নিজস্ব জমিতে ১ হাজার ৬৪০ একর ও কৃষকদের ৫ হাজার ৩৬০ একর জমিতে আখ রোপন করা হবে।
লক্ষমাত্রা অর্জন হলে ২০২৪-২৫ মাড়াই মৌসুমে চিনিকলে ১ লাখ মেট্রিকটন আখ মাড়াই কর ৬ হাজার ২০০ মেট্রিক টন চিনি উৎপাদন সম্ভব হবে। ২০২২-২৩ আখ রোপন মৌসুমে লক্ষমাত্রা অর্জিত না হলও ৩ হাজার ৮০২ একর জমিতে আখ রোপন করা হয়েছিল। কেরুর নিজস্ব ১ হাজার ১৫৩ একর ও আখ চাষীদের ২ হাজার ৬৪৯ একর মোট ৩ হাজার ৮০২ একর জমিতে উৎপাদিত আখের ফলন ভাল হলে উৎপাদন হতে পারে ৬৫ হাজার মেট্রিকটন চিনি।