চীনের জ্যেষ্ঠ কূটনীতিক ওয়াং ই বলেছেন, ১৯৭৯ সালে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের পর থেকে তার দেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক এখন সবচেয়ে মারাত্মক চ্যালেঞ্জের মধ্যে রয়েছে। কিন্তু দুই দেশ ফের সঠিক ধারায় ফিরে আসতে পারবে।
তিনি বলেন, চীন কখনো আরেকটি আমেরিকা হতে পারবে না; হবে না।
নিজ মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে পোস্ট করা এক বিবৃতিতে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করা স্টেট কাউন্সিলর ওয়াংলি বলেন, চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের যৌথভাবে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের উপায় খুঁজে বের করা এবং পরস্পরের প্রতি ইতিবাচক মনোভাব পোষণ করা উচিত।-খবর রয়টার্সের
করোনা মহামারী ও ব্রিটেনের সাবেক উপনিবেশ হংকংয়ে চীনের পদক্ষেপ নিয়ে বর্তমানে বিবাদে জড়িয়ে পড়েছে বেইজিং ও ওয়াশিংটন। এছাড়া বাণিজ্য বিতর্ক, তাইওয়ান ও দক্ষিণ চীন সাগর নিয়েও দুই দেশের মধ্যে দ্বন্দ্ব রয়েছে।
১৯৫০-এর দশকে এক মার্কিন সিনেটরের উৎসাহে কমিউনিস্টবিরোধী ধরপাকড়ের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, চীনের প্রতি বর্তমান মার্কিন নীতি কৌশলগত ভুল ধারনার ওপর ভর করে গড়ে উঠেছে। যার সত্যিকার অর্থে কোনো ভিত্তি নেই। যা আবেগের পূর্ণ বিস্ফোরণ ও ম্যাকার্থিবাদী বিদ্বেষ।
কোনো প্রমাণ ছাড়াই সহিংসতা ও রাষ্ট্রদ্রোহীতার অভিযোগ আনাই হল ম্যাকার্থিবাদ। সাবেক মার্কিন সিনেটর জোসেফ ম্যাকার্থির কাছ থেকেই এই মতবাদ এসেছে।
১৯৪০ থেকে ১৯৫০ সালের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে কমিউনিস্টদের বিরুদ্ধে এই রাজনৈতিক নিপীড়ন চলে।
তখন মার্কিন প্রতিষ্ঠানগুলোতে কমিউনিস্ট প্রভাব ও সোভিয়েত এজেন্টদের গুপ্তচরবৃত্তির আতঙ্ক ছড়িয়ে দেয়া হয়েছিল। সমাজতন্ত্র ও নৈরাজ্যবাদের সম্ভাব্য উত্থানের এই আতঙ্ককে রেড স্কেয়ার বলে আখ্যায়িত করা হয়েছিল।
বুধবার মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও বলেন, বিশ্বের উচিত হবে না চীনকে তর্জন-গর্জনের অনুমতি দেয়া। এসময় তিনি ভিয়েতনাম, জাপান ও ভারতের সঙ্গে চীনের ভূখণ্ডগত বিরোধকে সামনে নিয়ে আসেন।
ওয়াং বলেন, দুই দেশের পরস্পরের ক্ষেত্রে কোনো পরিবর্তন চাওয়া উচিত হবে না। চীন কখনোই আরেকটি আমেরিকা হবে না, হতে পারবে না। চীনের সঙ্গে একটি সমাজতান্ত্রিক ব্যবস্থা খাপ খাইয়ে গেছে এবং এ দেশের লোকজনের তা পছন্দ।
কাজেই চীনকে নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র আরও নিরপেক্ষ বোঝাপাড়া তৈরি করবে বলে আশা ব্যক্ত করে তিনি বলেন, যেটা হবে আরও যৌক্তিক ও নিরপেক্ষ চায়না নীতি। সূত্র-যুগান্তর