চুয়াডাঙ্গা সদরের পৌর এলাকার নুরনগর কলোনীপাড়ার কলীম উদ্দিন কলোর মেয়ে অন্তরা খাতুন (১৮)শ্বশুর বাড়ির লোকজনের শারীরিক নির্যাতন ও কটুকথা সহ্য করতে না পেরে বিয়ের ১০ দিনের মাথায় আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছে নববধু অন্তরা খাতুন।
সোমবার বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়েছে।মৃত অন্তরা খাতুনের বাবা ও এলাকাবাসী বলেন, প্রতিবেশী আশার ছেলে শাহ আলমের সাথে অন্তরা খাতুনের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। গত ২২ মে শাহ আলমের বাড়িতে অন্তরার সাথে দুজন একই ঘরে অবস্থান। এলাকার লোকজন বিষয়টি টের পেয়ে আপত্তিকর অবস্থায় তাদেরকে আটক করে। পরে এলাকাবাসী ওইদিনই কাজী ডেকে ৯০ হাজার টাকা দেনমোহরে তাদের বিয়ে দিয়ে দেয়। বিয়ের পর বিষয়টি মেনে না নিয়ে শাহ্ আলমের পরিবারের লোকজন অন্তরা খাতুনকে শারিরীক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করতে থাকে। এরই একপর্যায়ে আজ সকাল ১০ টার দিকে অন্তরা খাতুন তার বাবার বাড়িতে যায়। সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে অন্তরা খাতুন তার বাবার বাড়িতে যায়। সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে অন্তরা খাতুনকে ঘরের সিলিং ফ্যানের সাথে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করে তার বাবার বাড়ির লোকজন। তাকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে মারা যায় অন্তরা খাতুন।
চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু জিহাদ ফখরুল আলম খান জানান, বিয়ের কয়েক দিনের মাথায় একটা মেয়ের আত্মহত্যাকে রহস্য মনে হচ্ছে। সে কারনে লাশের ময়নাতদন্ত করা হচ্ছে।তিনি আরো জানান, ময়নাতদন্ত রিপোর্ট আশা না পাওয়া পর্যন্ত আমরা কিছু বলতে পারছিনা ময়নাতদন্ত শেষে বলা যাবে ভিকটিমের দেহে কোন প্রকার শারীরিক নির্যাতনের চিহ্ন আছে কি না। সেই সাথে রহস্য উদঘাটনে পুলিশ কাজ করে যাচ্ছেন।