চুয়াডাঙ্গা রেলওয়ে স্টেশনে সাকিব বিশ্বাস নামে এক কলেজ শিক্ষার্থী ব্যক্তিগত কাজে আসেন। এ সময় স্টেশনের প্ল্যাটফর্মে গুরুতর জখম অবস্থায় এক প্রতিবন্ধী মানসিক ভারসাম্যহীন নারীকে পড়ে থাকতে দেখেন এই শিক্ষার্থী। কৌতুহলবশত ওই নারীর সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করেন তিনি। ওই নারী মানসিকভাবে ভারসাম্যহীন বলে বুঝতে পারেন। পরে তার শরীরে গুরুতর জখম দেখতে পায়। সেই ক্ষতস্থানে পোকায় বাসা বেধেছে। এ সব দেখে ওই শিক্ষার্থী দ্রুত তার সহকর্মী ও সিনিয়রদের বিষয়টি অবগত করেন।
তাৎক্ষণিকভাবে শিক্ষার্থীদের উদ্যোগে চুয়াডাঙ্গা ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের কর্মীদের সহযোগিতায় ওই নারীকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে রোগীটির চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের মহিলা সার্জারী ওয়ার্ডে তার চিকিৎসা চলমান রয়েছে। শিক্ষার্থীদের ব্যক্তিগত উদ্যোগে রাতের চিকিৎসার যাবতীয় মেডিসিন সহ অনান্য সামগ্রী কিনে দেওয়া হয়েছে।
চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজে অধ্যায়নরত সাকিব বিশ্বাস বলেন, স্টেশনে আমরা একজন বৃদ্ধাকে অসুস্থ অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখি। তার কাছে যেয়ে দেখি ডান পায়ের এক অংশ ইনজুরি এবং ক্ষত সৃষ্টি করে পোকা বাসা বেধেছে। আমরা চুয়াডাঙ্গা সাধারণ শিক্ষার্থী মিলে সিধান্ত নিই তার চিকিৎসা সেবা দেওয়া প্রয়োজন যোগাযোগ করে ফায়ার সার্ভিসের সহযোগিতায় এ্যাম্বুলেন্সে হাসপাতালে নিয়ে আসি।
শিক্ষার্থী শাফফাতুল ইসলাম বলেন, ওই নারীর পরিচয় সনাক্ত করা যায়নি। তার চিকিৎসাসহ যাবতীয় সেবার জন্য আমরা চেষ্টা করছি। পাশাপাশি তার পূর্ণবাসনের জন্য সকলের সহযোগিতা প্রয়োজন।
এ সময় শিক্ষার্থীদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ফাহিম উদ্দিন মভিন, মাহবুবুর ইসলাম আকাশ, মুশফিকুর রহমান, সাদ, রিয়াজুল বাসার, মাহিম বিল্লাহ ও আকাশ প্রমূখ।