চুয়াডাঙ্গা পুলিশ লাইন্সে ইনডোর ব্যাডমিন্টন কোটের ভিত্তিপ্রস্তর ও কাজের উদ্ধোধন করেছেন চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলাম। সোমবার বেলা সাড়ে এগারো টার সময় চুয়াডাঙ্গা পুলিশ লাইন্সে “ইনডোর ব্যাডমিন্টন কোট” এর ভিত্তিপ্রস্তর সহ কাজের শুভ উদ্ধোধন করেন তিনি।
চুয়াডাঙ্গা জেলার পুলিশ সুপার মোঃ জাহিদুল ইসলাম চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশে যোগদান করে একের পর এক অফিসার ও ফোর্সের কল্যাণমুখি কাজ করে চলেছেন। তাঁরই ধারাবাহিকতায় ক্রীড়ানুরাগী পুলিশ সুপার চুয়াডাঙ্গা পুলিশ লাইন্সে “ইনডোর ব্যাডমিন্টন কোট” এর ভিত্তিপ্রস্তর সহ কাজের শুভ উদ্ধোধন করেন।
উদ্ধোধনকালে পুলিশ সুপার বলেন, শরীর ও মনের সুস্থতায় অবশ্য ব্যাডমিন্টন বেশ উপকারী। এক ঘণ্টা ব্যাডমিন্টন খেললে ৪৫০ ক্যালরি পোড়ানো সম্ভব। এই খেলা জেলা পুলিশের অফিসার ফোর্সের গতি বাড়াবে, শরীরটাকে ফিট রাখবে। বুদ্ধিতেও শাণ পড়বে। গড়ে উঠবে খেলোয়াড়সুলভ মানসিকতা। ব্যাডমিন্টন খেলতে গিয়ে দৌড়ঝাঁপ, ডাইভিং, ক্ষিপ্রতার সঙ্গে কর্কে আঘাত করার বিষয়টি পেশি ও সন্ধির দক্ষতা বাড়াবে।
এ ধরনের খেলায় রক্তে খারাপ চর্বির মাত্রা কমে, ভালো চর্বির মাত্রা বাড়ে। রক্তে শর্করার পরিমাণ কমে। ডায়াবেটিসের রোগীরা হাঁটার বদলে ব্যাডমিন্টনও খেলতে পারেন। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকবে। হৃদরোগের ঝুঁকি কমবে। সুস্থ ব্যক্তি খেলার অভ্যাস গড়ে তুললে পরবর্তী সময়ে তাঁদের এসব দীর্ঘমেয়াদি রোগ হওয়ার ঝুঁকি কমবে।
ব্যাডমিন্টন খেলার অভ্যাস সচল ও কর্মক্ষম থাকার পথে এগিয়ে দেবে। সচল থাকার মাধ্যমে হাড়ের ক্ষয় রোধ হবে। ব্যাডমিন্টন খেলায় সকলের দুশ্চিন্তা কমবে। প্রফুল্ল থাকতে পারবেন। সামাজিক যোগাযোগ বাড়বে। শরীরের প্রতিটি কোষে অক্সিজেন যাবে প্রচুর পরিমাণে। এন্ডরফিন নিঃসরণ বাড়বে, যার ফলে শরীরের ব্যথা কম অনুভব করবেন, মানসিক চাপ কমবে এবং ঘুম ভালো হবে।
উক্ত অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর) কনক কুমার দাস সহ চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশের সকল পর্যায়ের অফিসার ও ফোর্সগন।