চুয়াডাঙ্গার দর্শনা থানার গড়াইটুপি ইউনিয়নের খাড়াগোদা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে কাবাডি খেলা নিয়ে তর্কবির্তকের কারনে প্রধান শিক্ষক নাহারুল ইসলামের বিরুদ্ধে বিদ্যালয়ের ক্রীড়া শিক্ষক ও ল্যাব এসিস্ট্যান্টকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। গতকাল রোববার দুপুর আনুমানিক ১ টার দিকে ।পরে উত্তেজিত ছাত্র শিক্ষকদের পুলিশ গিয়ে শান্ত করেন।
জানাগেছে,চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার গড়াইটুপি ইউনিয়নের খাড়াগোদা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের আগামীকাল সোমবার চুয়াডাঙ্গার ঝিনুক মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের কাবাডি থানা পর্যায়ের খেলা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিলো। এজন্য শিক্ষকের কক্ষে যান।এ সময় প্রধান শিক্ষক এর আগেও খেলোয়াড়দের নিয়ে বিড়ম্বনা কথা বলে ক্রীড়াশিক্ষককে এসে খেলার মাঠে খেলোয়াড়দের নিয়ে যাবার কথা বলে।
অপরদিকে প্রধান শিক্ষক নাহারুল ইসলাম পুরনো খরচপাতির কথা তুলে ধরে খেলায় অংশগ্রহণ করতে অনিহার ভাব প্রকাশ করে।
পরে নিয়ে তর্কবিতর্কের একপর্যায়ে প্রধান শিক্ষক সোয়েব হোসেনকে স্কেল দিয়ে মারধর করে। পরে ঠেকাতে গিয়ে শামীম রেজা নামের আরেক শিক্ষ হালকা চোট পায়।অপরদিকে প্রধান শিশিক্ষককে মূর্খ বলে নিজের দোষ স্বীকার করেন ক্রীড়া শিক্ষক। এজন্য তাকে মারধর করে।
এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের সভাপতি খালেকুজ্জামান মাস্টার বলেন,আমি ঘটনার পরে স্কুলে গিয়ে উভয়পক্ষের সাথে কথা বলে আগামীকাল খেলা থাকার কারনে স্থানীয় চেয়ারম্যানসহ আমরা বসে একটা সমাধান করার চেষ্টা করবো।
এদিকে স্থানীয়রা মাছুরা খাতুন টুনি নামের সংবাদকর্মীকে মোবাইল ছিনিয়ে মারধর করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ওই সংবাদকর্মী।তবে তারা বলেছেন পক্ষপাতিত্বমূলক কথা বলার জন্য তাকে উত্তেজিতরা এ ঘটনা ঘটায়।
তবে এ ঘটনায় দর্শনা থানার অফিসার ইনচার্জ এ এইচ এম লুৎফুল কবির বলেন খাড়াগোদা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের খেলা নিয়ে সংঘর্ষ হয়েছে তবে কোন শিক্ষক অভিযোগ করেননি।তবে এ ঘটনায় মাছুরা টুনি নামের একজন অভিযোগ করেছে।