চুয়াডাঙ্গার হরিশপুর গ্রামের শিক্ষক নজরুল ইসলামের বিরুদ্ধে পর স্ত্রীকে পিটিয়ে আহত এবং শীল্লতাহানির অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় রেশমা খাতুন বাদি হয়ে ৪ জনকে আসামী করে আদালতে মামলা দায়ের করেছেন। বিজ্ঞ আদালতের বিচারক মামলাটি এজাহার হিসাবে নতিভুক্ত করার জন্য দর্শনা থানা পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানাগেছে, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার বেগমপুর ইউনিয়নের হরিশপুর গ্রামের আক্তারুজ্জামানের স্ত্রী রেশমা খাতুনকে (৩৫) জমির সীমানা বিরোধ নিয়ে নজরুল ইসলাম গত রোববার দুপুর ২টার দিকে কিল, ঘুষি এমনকি চুলের মুঠি ধরে কাপড় চোপড় ছিড়ে টেনেহেচড়ে আহত করেন। এসময় ঠেকাতে গেলে স্বামী আক্তারুজ্জামান (৪২), ছেলে আবির হাসান (১৩) কেও শাবল এবং বাঁশ দিয়ে মাথায় আঘাত করে রক্তাক্ত জখম করে। নজরুল ইসলাম একই এলাকার মৃত সোবারক এর ছেলে এবং হরিশপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক।
আহতদের উদ্ধার করে নেয়া হয় চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে। এ ঘটনায় রেশমা খাতুন পরের দিন বাদি হয়ে শিক্ষক নজরুল ইসলাম ও তার ভাই খাইরুল ইসলাম, সিরাজুল ইসলাম ও আনারকে আসামী করে চুয়াডাঙ্গা বিজ্ঞ আমলী আদালতে (সি,আর-৮১/২১) মামলা দায়ের করেন। বিজ্ঞ আদালতের বিচারক মামলাটি এজাহার ভুক্ত করতে দর্শনা থানা পুলিশকে নির্দেশ দেন।
এ ব্যাপারে দর্শনা থানার তদন্ত ওসি শেখ মাহাবুবুর রহমান বলেন, আদালতের নির্দেশ মোতাবেক প্রয়োজনিয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এব্যপারে শিক্ষক নজরুল ইসলাম তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অশিকার করেছেন।