চুয়াডাঙ্গায় আলুকদিয়া ইউনিয়নে সচেতনতা বিষয়ক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

চুয়াডাঙ্গায় যৌনহয়রানি ইভটিজিং, মাদক, জঙ্গীবাদ, দুর্নীতি প্রতিরোধ, আত্মহত্যার বিরুদ্ধে সচেতনতা সৃষ্টি, ডেঙ্গু প্রতিরোধ ও সার্বিক আইন-শৃঙ্খলার বিষয়ক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার আলুকদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের আয়োজনে গতকাল সোমবার বেলা সাড়ে ১১ টায় আলোকদিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন চুয়াডাঙ্গার জেলা প্রশাসক ড. কিসিঞ্জার চাকমা।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক ড. কিসিঞ্জার চাকমা বলেন, আপনার সন্তানকে এমন শিক্ষা দেন যাতে তারা গুরুজনকে সম্মান করতে শেখে। আপনার সন্তানকে সময় দেন, গল্প করেন। মুক্তিযুদ্ধের গল্প শোনান। নীতি নৈতিকতা শেখান। তখন দেখবেন, আপনার সন্তান বিপথে যাবে না। আমরা যারা শিক্ষক, সরকারি কর্মচারী, সাংবাদিক যারা বিভিন্ন ক্ষেত্রে কাজ করি, আমাদেরও দায়িত্ব আছে। আমরা আজ কথা দিবো, আমরা সন্তানকে সময় দেবো। আমরা আমাদের সন্তানকে শিক্ষা দিতে পারিনি। সতর্ক থাকতে হবে। চুয়াডাঙ্গায় প্রায় প্রতিদিন আত্মহত্যার একজন না একজন আত্মহত্যা করে। এগুলোর দিকে সতর্ক থাকতে হবে। আমি বার বার একটি কথা আপনাদের মনে করিয়ে দিচ্ছি। গুজবের বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে।

মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার শামীম ভুইয়া। মতবিনিময় সভার শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন আলুকদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাজী আবুল কালাম আজাদ।

অভিভাবকদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন আব্দুর রাজ্জাক। মতবিনিময় সভায় শিক্ষার্থীদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন আলুকদিয়া রোমেলা খাতুন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেণির শিক্ষার্থী তাজমিন খাতুন। মতবিনিময় সভার শুরুতে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত ও গীতাপাঠ করা হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন আলুকদিয়া ইউনিয়নের বীর মুক্তিযোদ্ধা, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানর শিক্ষক-শিক্ষার্থী, অভিভাবক, ইউনিয়ন পরিষদের সচিব, ইউপি সদস্য ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ। এছাড়াও, আলুকদিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে বৃক্ষ রোপণ ও নির্ধারিত সময়ে জন্ম নিবন্ধন করায় এক মাকে উপহার তুলে দেন জেলা প্রশাসক ড. কিসিঞ্জার চাকমা। এর আগে বতৃতা দেওয়ার সময় জেলা প্রশাসক ঘোষণা দেন ওই অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের মধ্যে বক্তব্য রাখা ৭ম শ্রেণির ছাত্রী তাজমিন খাতুনের জন্যিএকটি উপহারের। তিনি বলেন, যে শিক্ষার্থীরা সাহস করে কথা বলতে পারে, আমরা মনে করি তারা ভবিষ্যতে বড় হবে।