চুয়াডাঙ্গায় ইটভাটার শ্রমিক শান্তর (১৮) মরদেহ নিয়ে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেছে তার আত্মীয়-স্বজন ও গ্রামবাসীরা। আজ মঙ্গলবার (২ জুলাই) দুপুরে শহরের শহীদ হাসান চত্বর এলাকায় বিক্ষোভ করেছে তারা। বিক্ষোভকারীরা শান্তর অস্বাভাবিক মৃত্যুর রহস্য উদঘাটন ও অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী করে।
এদিন দুপুর ২টায় চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের মর্গ থেকে শান্তর মরদেহ নিয়ে শহরের শহীদ হাসান চত্বরে বিক্ষোভ প্রদর্শণ করে তার আত্মীয়-স্বজন ও প্রতিবেশীরা। এসময় স্বজনরা বলেন, সোমবার (১ জুলাই) ফজর নামাজ শেষে সকালে শান্ত জালশুকা গ্রামে হিমালয় ইটভাটায় কাজ করতে গিয়ে আর বাড়িতে ফেরেনি।
খোঁজাখুজির এক পর্যায়ে ওই ইটভাটার পেছনের পুকুর থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে বলে তারা দাবী করে। মৃত্যুর রহস্য উদঘাটন ও অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানায় তারা। পরে সেখানে মানববন্ধন করেন আত্মীয়-স্বজন ও গ্রামবাসীরা। এসময় পুলিশের আশ্বাসে গ্রামে ফিরে যান আন্দোলনকারীরা।
চুয়াডাঙ্গা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ শেখ সেকেন্দার আলী জানান, ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন হাতে পাওয়ার পর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে। এটি হত্যাকাণ্ড কিনা এখনই নিশ্চিত নয়। এ ঘটনায় এখনো মামলা হয়নি।
উল্লেখ্য, সোমবার (১ জুলাই) রাতে সদর উপজেলার শংকরচন্দ্র ইউনিয়নের জালশুকা গ্রামের হিমালয় ইটভাটার পুকুর থেকে শ্রমিক শান্তর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। সে পার্শ্ববর্তী ডিঙ্গেদহ পাওয়ারহাউজ পাড়ার আজিজুল হকের ছেলে। পরিবারের দাবী, তাকে হত্যার পর পুকুরের পানিতে ফেলে রাখা হয়। পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।