চুয়াডাঙ্গায় গৃহবধুকে শ্লীলতাহানির অভিযোগে মামলা রুজুর ৩ ঘন্টার মধ্যে চুয়াডাঙ্গা সদর থানা পুলিশ কর্তৃক অভ্যাসগত সহিংস যৌন নিপীড়নকারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
চুয়াডাঙ্গা সদর থানাধীন কুতুবপুর (ক্ষিনপাড়া) সাকিনস্থ জনৈক মোঃ রিপন আলীর স্ত্রী মোছাঃ কেয়া খাতুন (২৬) বাদী হয়ে সদর থানায় এসে লিখিত এজাহার দায়ের করেন যে, গত সোমবার রাত এগারোটার সময় চুয়াডাঙ্গা সদর থানাধীন কুতুবপুর দক্ষিনপাড়ার আত্তাব আলীর ছেলে আসামী মোঃ শফিকুল ইসলাম (৩৩) শ্লীলতাহানি ও যৌন নিপীড়নের ঘটনা ঘটায়।বর্ণিত ঘটনায় চুয়াডাঙ্গা থানার মামলা নং-১৬ মঙ্গলবার ধারা- ১০ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, ২০০০ (সংশোধিত ২০২০)রুজু হয়।
চুয়াডাঙ্গা জেলার পুলিশ সুপার আর এম ফয়জুর রহমান পিপিএম-সেবা নির্দেশে চুয়াডাঙ্গা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার( সদর সার্কেল) আনিসুজ্জামান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(সদর সার্কেল), চুয়াডাঙ্গা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ শেখ সেকেন্দার আলীর নেতৃত্বে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই(নিঃ) মোঃ ফরিদুল ইসলাম সংগীয় ফোর্সসহ চুয়াডাঙ্গা সদর থানার একটি চৌকস টিম চুয়াডাঙ্গা থানা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে আসামী মোঃ শফিকুল ইসলামকে গ্রেফতার করে। আসামীকে প্রাথমিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদে চাঞ্চল্যকর বেশ কিছু তথ্য পাওয়া যাচ্ছে।
আসামীর প্রদত্ত স্বীকারোক্ত অনুযায়ী গ্রেফতারকৃত আসামী একজন অভ্যাসগত সহিংস যৌন নিপীড়নকারী। সে রাত্রি বেলায় প্রায়শই এলাকায় বিভিন্ন বাড়ীর আশেপাশে পূর্বে থেকে ওঁৎ পেতে থাকে এবং এ সময় ঘরে কেউ না থাকার সুযোগে গোপনে আসামী তার ঘরে মধ্যে প্রবেশ করে এবং খাটের নিচে লুকিয়ে থাকে। সুযোগ বুঝে তাদেরকে মুখ চেপে ধরে এবং আসামীর চিরাচরিত সহিংস ও হিংস্র আচরণের মাধ্যমে তাদের উপর যৌন নিপীড়ন চালিয়ে কৌশলে পালিয়ে যায়।
গ্রেপ্তারকৃত এই আসামি কর্তৃক কতজন ভিকটিম তার বিকৃত লালসার শিকার হয়েছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।আসামীকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে বলে জানান চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা।