ড্রাইভিং লাইসেন্স জন্মতারিখ সংশোধনের দাবিতে কয়েক জেলার ভুক্তভোগি ড্রাইভার শ্রমিকদের নিয়ে চুয়াডাঙ্গায় মানবন্ধন করেছে।
আজ রোববার সকাল সাড়ে দশটার সময় চুয়াডাঙ্গা বড়বাজার শহীদ হাসান চত্বরে এই মানবন্ধন হয়। মানবন্ধনে বিভিন্ন দাবি নিয়ে চুয়াডাঙ্গা জেলা সড়ক পরিবহন ও জেলার সকল শ্রমিক ইউনিয়নের আয়োজনে এই মানবন্ধনে অংশগ্রহণ করেন জেলার সকল শ্রমিকের ইউনিয়নের নেতা কর্মিরা ও পেশাদার গাড়ি চালকরা।
মানবন্ধনে তাদের দাবি ছিল , ভোটার আইডি কার্ড অনুযায়ি ড্রায়ভিং লাইন্সেস জন্মতারিখ সংশোধন করতে হবে। ড্রাইভিং লাইন্সেস এর নথিভুক্ত ও ছাড়পত্রের কার্যক্রম দ্রুত কার্যকর করতে হবে। শ্রেণি সংযোজন ড্রাইভিং লাইন্সেস বারকোর্ড লার্নারের পরিক্ষার তিন ফিঙ্গারের সময় পূর্বের ড্রাইভিং লাইন্সেস সংযোজন করে ছবি তোলার ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। ভোটার আইডি কার্ডে মোহাম্মদ, ফুলস্টপ ড্রাইভিং লাইসেন্সে মোহাম্মদেও পরে স্পেস এই কারণে টাকা দেওয়ার সমস্যা। ড্রাইভিং লাইন্সেস এর শ্রেণি পরিবর্তনের সময় কার্যক্রম দ্রুত করতে হবে।
এসময় মানবন্ধনে উপস্থিত বক্তারা বলেন, ড্রাইভিং লাইসেন্স নবায়নের আবেদন ফাইল বিআরটিএ অফিসে কয়েক বৎসর ধরে পড়ে থাকা আবেদন পত্রের নবায়নের কোন সুরাহা হচ্ছে না। জাতীয় পরিচয় পত্র অনুযায়ী জন্ম তারিখ সংশোধন করে ড্রাইভিং লাইসেন্স নবায়ন করার জন্য বিগত ৪ (চার) মাস আগে একটি মানববন্ধন করা হয়েছে। একজন পেশাদার ড্রাইভার ৪/৫ বার নবায়ন করা স্মার্ট কার্ড পাওয়ার পরে বর্তমানে জন্ম তারিখ ভুলের কারণে ড্রাইভিং লাইসেন্স এর নবায়ন হচ্ছে না। এদের অধিকাংশ ড্রাইভারেরই স্মার্ট কার্ড ২/৩ বার নবায়ন হয়েছে এবং ৪৭৭ নং স্মারকে ২০০১ সালে জন্ম তারিখ সংশোধনের জন্য একটি প্রজ্ঞাপন হয়েছিল। এই প্রজ্ঞাপনের পরে জন্ম তারিখ সংশোধনের জন্য আরো একটি প্রজ্ঞাপন ২০১৬ সালে জানা মতে হয়েছিল। বর্তমান প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী ভলিউম সঠিক থাকা ড্রাইভারদের জন্ম তারিখ সংশোধন পূর্বক নবায়নের সুযোগ এবং নন-স্মার্ট কার্ড ড্রাইভিং লাইসেন্স-এ সিথিলতা করে দ্রুত স্মার্ট কার্ড ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রদান করার ব্যবস্থা করা একান্ত প্রয়োজন। অনেক ড্রাইভারদের ফিঙ্গারপ্রিন্ট নেওয়ার পরও জন্ম তারিখের জটিলতার কারণে তারা লাইসেন্স পাচ্ছে না।
বক্ত্যারা আরো বলেন, সারা দেশে বৈধ ড্রাইভারদের সংখ্যা অনুযায়ী গাড়ীর সংখ্যা অনেক বেশি। এই অবস্থায় জন্ম তারিখ সংশোধনের জন্য সারা বাংলাদেশে ৪০/৫০ হাজার পেশাদার/অপেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স বাতিল হলে এই সকল ড্রাইভারদের পরিবারের পরিজনদেরকে নিয়ে রাস্তা বসা ছাড়া কোন উপায় থাকবে না। ড্রাইভাররা তাদের পূর্বের লাইসেন্স ও নবায়নের স্লিপ নিয়ে ২/৩ বৎসর যাবৎ রাস্তায় গাড়ি চালাতে পারছে না। রাস্তায় আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী কর্মকর্তারা স্লিপ এবং পূর্বের লাইসেন্স মানতে রাজি হচ্ছে না। ড্রাইভারদের জরিমানা প্রদানের জন্য এবং মামলা নিষ্পত্তির জন্য বিভিন্ন দূরের জেলায় যেতে হচ্ছে। এদিকে গাড়ির মালিকরা ড্রাইভারদের ছুটি দিতে কোন মতেই রাজি হচ্ছে না। আমাদের বাংলাদেশে বৈধ ড্রাইভারের থেকে গাড়ীর সংখ্যা বেশি। তারপরও যদি জন্ম তারিখ সংশোধনের জন্য ৪০/৫০ হাজার ড্রাইভারদের লাইসেন্স বাতিল হয়ে যায়। এই কারণে লাইসেন্স বাতিল হয় তাহলে অবৈধ ড্রাইভারদের সংখ্যা আরো বেড়ে যাবে। যাদের বৈধ রেকর্ড ও ভলিউম আছে তাদের জন্য একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে জন্ম তারিখ দ্রুত সংশোধনের ব্যবস্থা গ্রহণ করিলে উক্ত ৪০/৫০ হাজার ড্রাইভারদের লাইসেন্স প্রাপ্ত ও পরিবার বেঁচে যাবে। দেশের সাথে থেকে স্মার্ট বাংলাদেশের যোগাযোগ ব্যবস্থা সফল ও স্বার্থক করিবার উদ্দেশ্যে এবং ড্রাইভিং লাইসেন্স নবায়নের জন্ম তারিখ সংশোধন হওয়া একান্ত আবশ্যক বলে মনে করেন মানবন্ধনের বক্তারা।
এসময় মানবন্ধনে উপস্থিত ছিলেন, চুয়াডাঙ্গা বাস মিনিবাস মাইক্রবাস সড়ক পরিবহনের সভাপতি এম.জেনারেল ও সাধারণ সম্পাদক রিপন মন্ডল, আন্তজেলা ট্রাক ট্র্যাংকুলারি শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মামুন অর-রশিদ, আন্তজেলা ট্রাক ট্র্যাংকুলারি কার্ভাডভ্যানের সভাপতি সিরাজুল ইসলাম, ও সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম, জেলার মাইক্রবাসের সভাপতি মিল্টু জমিদার, প্রমুখ। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন জেলার পেশাদার সকল গাড়ি চালকরা।