চুয়াডাঙ্গায় দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থী সাইফুল আমিন শীর্ষ পরীক্ষা চলাকালীন অসদুপায় অবলম্বন করছিল। সে কাজে বাঁধা দেওয়ায় ওই শ্রেণী কক্ষে দায়িত্বরত বাংলা বিভাগের সহকারী শিক্ষক হাফিজুর রহমানের দু’গালে চড় মেরে পালিয় যায় ওই শিব্ষার্থী। অভিযুক্ত শীর্ষ দৈনিক মাথাভাঙ্গার প্রকাশক ও সম্পাদকের ছেলে।
এ ঘটনার তীব্র নিদা জানিয়ে গতকাল সোমবার দুপুরে শহরে বিক্ষোভ প্রদর্শন করছে। এ ঘটনায় তদন্তের ৪ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্দ দল গঠন করা হয়েছে। বাংলাদেশ সরকারী মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতি এ ঘটনায় তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জ্ঞাপন করে একটি বিবৃতি দিয়েছে।
এ ঘটনাটি গত রবিবার (৮ অক্টাবর) বেলা ১১টা ১০ মিনিট ঘটলেও এদিন রাতে চুয়াডাঙ্গা ভিক্টারিয়া জুবিলি সরকারী উচ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সেখ সফিয়ার রহমান সদর থানায় এ সংক্রান্ত একটি অভিযাগপত্র দিয়েছেন।
অভিযাগপত্রে প্রধান শিক্ষক বলেন, বিদ্যালয়ের ১১২ নম্বর কক্ষে এস.এস.সি. নির্বাচনী পরীক্ষার দায়িত্বপালন করছিলেন সহকারী শিক্ষক হাফিজুর রহমান। পরীক্ষা চলাকালীন এ বিদ্যালয়ের প্রভাতী শাখার দশম শ্রেণীর ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগের পরীক্ষার্থী সাইফুল আমিন শীর্ষ পরীক্ষার হল অসদুপায় আবলম্বন ও বিশৃখলা সৃষ্টি করে। এমতবস্থায় দায়িত্বরত শিক্ষকে বাঁধা প্রদান করায় ওই শিক্ষার্থী ,শিক্ষকক শারীরিকভাবে লাঞ্চিত করে।
সিসিটিভি ফুটেজ দেখা যায়, পরীক্ষার্থী সাইফুল আমিন শীর্ষ পরীক্ষা দেয়ার সময় অসদুপায় অবল্বন করলে তার খাতাটি দায়িত্বরত শিক্ষক কেড় নেন। এরপর তাকে শিক্ষকের সঙ্গে কথা বলতে দেখা যায়। সে সময় শিক্ষক তাকে দু’কাঁধ চাপ দিয়ে তার আসনে বসিয়ে দিতে গেলও সে বসে না। তারপর শিক্ষার্থী শীর্ষ ওই শিক্ষকর সামনে পেছন হাত রেখে দাঁড়ায়। ওই সময় কথা বলার পরপরই সে শিক্ষকের দু’গালে ডান ও বাম হাত দিয়ে চড় মেরে পালিয়ে যায়। এরপর লাঞ্চিত শিক্ষক খাতাটি নিয়ে শ্রেনী কক্ষে থেকে বের হয়ে যান।
চুয়াডাঙ্গা ভিক্টরিয়া জুবিলি সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সেখ সফিয়ার রহমান এ প্রতিবদককে বলেন, এ বিদ্যালয়র সভাপতি জেলা প্রশাসক ড.কিসিঞ্জার চাকমা। এ ঘটনার পর বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে গেলে তিনি থানায় অভিযাগপত্র দিতে পরামর্শ দেন। সেই মােতাবেক অভিযাগপত্র দেয়া হয়েছে। শিক্ষককে চড় মেরে ছাত্রটি গর্হিত অপরাধ করেছে, সকারন বিদ্যালয় কর্তপক্ষ ওই ছাত্রর ছাত্রত্ব রাখব কি না ? এমন প্রশর জবাব তিনি বলেন, শিক্ষকদের হাত থেকে যেদিন বেত কেড়ে নেওয়া হয়েছে,তারপর থেকেই এ ধরনের ঘটনা ঘটেই যাচ্ছে। এটা তারই প্রতিফলন। তিনি বলেন. ঘটনার পর শিক্ষদের আর শ্রেণী কক্ষে ফিরিয়ে নেওয়া যায়নি। তাদের দাবী যত দিন দােষী ছাত্রের বিচার না হবে ততদিন তারা ছাত্রদের পড়ানা বন্ধ রাখবে। তিনি জানান, এঘটনার পর জেলা প্রশাসকের পক্ষ থেকে ৪ সদস্যর একটি তদন্ত দল গঠন করা হয়েছে। এ তদন্ত দলের সদস্যরা হলেন, চুয়াডাঙ্গা জেলা শিক্ষা অফিসার আতাউর রহমান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) শারমিন আক্তার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আনিসুজ্জামান লালন ও তিনি নিজে।
চুয়াডাঙ্গার সবচেয়ে সমালাচিত ঘটনার সংবাদ গতকাল সোমবার স্থানীয় ৪টি সংবাদপত্রে প্রকাশিত না হওয়ায় জনমনে প্রচন্ড ক্ষােভ সৃষ্টি হয়েছে। এই সংবাদপত্র বর্জন করার জন্য তারা ফেসবুক নানান নিতিবাচক মন্তব্য করেছে। এদিন দুপুর চুয়াডাঙ্গা সরকারী বালিকা উচ বিদ্যালয়র শিক্ষক-ছাত্রীরা প্রতিবাদী মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে। এছাড়া বাংলাদশ সরকারী মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতি এ ঘটনায় তীব্র প্রতিবাদ ও নিদা জ্ঞাপন করে একটি বিবৃতি দিয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে দ্রুত সময়ের মধ্যে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ না নিল সমিতির পক্ষ থেক কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে।চুয়াডাঙ্গার সবচেয়ে সমালাচিত ঘটনার সংবাদ গতকাল সোমবার স্থানীয় ৪টি সংবাদপত্রে প্রকাশিত না হওয়ায় জনমনে প্রচন্ড ক্ষােভ সৃষ্টি হয়েছে। এই সংবাদপত্র বর্জন করার জন্য তারা ফেসবুক নানান নিতিবাচক মন্তব্য করেছে। এদিন দুপুর চুয়াডাঙ্গা সরকারী বালিকা উচ বিদ্যালয়র শিক্ষক-ছাত্রীরা প্রতিবাদী মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে।
এছাড়া বাংলাদশ সরকারী মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতি এ ঘটনায় তীব্র প্রতিবাদ ও নিদা জ্ঞাপন করে একটি বিবৃতি দিয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে দ্রুত সময়ের মধ্যে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ না নিল সমিতির পক্ষ থেক কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে।