বাংলাদেশ পুলিশে ট্রেইনি কনস্টেবল(টিআরসি) নিয়োগ উপলক্ষে চুয়াডাঙ্গা পুলিশ লাইন্সে ব্রিফিং সেশন অনুষ্ঠিত হয়।
আজ সোমবার ব্রিফিং অনুষ্ঠানে চুয়াডাঙ্গা জেলার সুযোগ্য পুলিশ সুপার জনাব মোঃ জাহিদুল ইসলাম (বিপিএম-সেবা) ব্রিফ করেন।
পুলিশ সুপার মহোদয় বাংলাদেশ পুলিশে ট্রেইনি কনস্টেবল(টিআরসি)পদে নিয়োগ প্রত্যাশীদের উদ্দেশ্যে বলেন,আগামীকাল থেকে চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশ লাইন্স মাঠে কনস্টেবল পদে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হবে।নিয়োগের ভিত্তি হবে যোগ্যতা এবং শুধুমাত্র যোগ্যতা।সকল প্রার্থীর সামনে খোলা মাঠে শারীরিক পরীক্ষা হবে। কাজেই কাউকে বিশেষ সুবিধা দেয়ার কোন সুযোগই নেই।লিখিত পরীক্ষার খাতা কোডিং করে নাম ঠিকানা লেখা অংশ রেখে শুধু উত্তর লেখা অংশ পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স এ প্রেরণ করা হবে। ভিন্ন বোর্ড খাতা মূল্যায়ন করবে। যারা খাতা দেখবে তাদের পক্ষে কার খাতা সেটা দূরে থাক, কোন জেলার খাতা সেটা বুঝারও কোন সুযোগ নেই।
সর্বাধুনিক এই নিয়োগ পদ্ধতিতে পুলিশ সুপার বা অন্য কোন সদস্যের কাউকে সহায়তা করার সুযোগ নেই।তাই অযথা প্রতারিত হবেন না। কেউ যদি টাকা পয়সা বা অন্য কিছুর বিনিময়ে চাকুরীর আশ্বাস দেয় তবে আপনি নিশ্চিত থাকুন সে প্রতারক। প্রতারককে পুলিশে সোপর্দ করুন। ছোট দেশ, পুলিশের উর্ধ্বতন অনেক কর্মকর্তার সাথে অনেকের পরিচয় বা আত্মীয়তা থাকতেই পারে। তারা আপনার সামনে থেকে তাদের ফোন করে কুশল বিনিময় করে আপনাকে বিভ্রান্ত করতে পারে। বিভ্রান্ত হবেন না। আপনি পরীক্ষায় না টিকলে পুলিশ বা অন্য বিভাগের কোন কর্তাব্যক্তির কোন ক্ষমতায় নাই আপনাকে পুলিশের চাকুরী দেবার। যদি কেউ আশ্বাস দিয়ে থাকে তবে আপনি নিশ্চিত থাকুন সে ঠক,ভন্ড, প্রতারক।আসলে শুধু কর্মকর্তা নন, কারোরই ক্ষমতা নেই আপনাকে চাকুরী দেবার। আপনাকে চাকুরী দিতে পারেন কেবল আপনিই,সকল পরীক্ষায় ভালো করে। সৃষ্টিকর্তা ছাড়া কাউকেই বিশ্বাস করবেন না, নিজের উপর আস্থা রাখুন। কোনভাবেই প্রতারকের খপ্পরে পড়বেন না যেন।
তিনি আরো বলেন, চুয়াডাঙ্গা জেলার সবর্ত্র সাদা পোষাকে গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করা হয়েছে। আসন্ন কনস্টেবল(টিআরসি) নিয়োগে অবৈধ্যভাবে জড়িত কারও সন্ধান পেলে তার বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে কঠোর হুশিয়ারি উচ্চরণ করে বলেন,অসদুপায়ে কনস্টেবল(টিআরসি)নিয়োগের সাথে জড়িত কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।পুলিশের কোন সদস্য নিয়োগের সাথে জড়িত হলে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থাসহ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
ব্রিফিং সেশন শেষে পুলিশ সুপার সকল পুলিশ সদস্য ও বোর্ড সংশ্লিষ্ট সবাইকে নিজ অবস্থান থেকে অর্পিত দ্বায়িত্ব সঠিকভাবে পালনের আহবান জানান।
ব্রিফিং সেশনে আরও উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(ক্রাইম অ্যান্ড অপস্) কনক কুমার দাস, সহকারি পুলিশ সুপার(দামুড়হুদা সার্কেল) মোঃ মুন্না বিশ্বাসসহ নিয়োগ বোর্ড সংশ্লিষ্ট অফিসার ফোর্সগন।