হিট স্পট খ্যাত চুয়াডাঙ্গায় তীব্র দাবাদহ থেকে রক্ষা পেতে খাবার পানি ও স্যালাইন নিয়ে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে বহুমুখী মানব কল্যাণ সংস্থা । প্রতিষ্ঠানটি মানুষের পিপাসা নিবারন ও প্রশান্তির জন্য শহরের হাসান চত্বরের পুলিশ বক্স ও একাডেমি মোড়স্হ সারা ভবনের সামনে বোতলজাত খাবার পানি ও স্যালাইন সরবরাহ করছেন।
এ উপলক্ষে রবিবার বেলা ১১টায় চুয়াডাঙ্গা শহরের শহীদ হাসান চত্বরেখাবার পানি বিতরণ কর্মসুচীর উদ্বোধন করা হয়।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মাহফুজুর রহমান মনজু, চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার মেয়র জাহাঙ্গীর আলম মালিক খোকন, চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ অধ্যাপক সিদ্দিকুর রহমান, জেলা দূর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি অধ্যাপক কামরুজ্জামান, ট্রাফিক পুলিশের পরিদর্শক ওলিউজ্জামান ওলি, আমিরুল ইসলাম, হাসান মল্লিক, মাসুম, প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ও বহুমুখী মানব কল্যাণ সংস্থার নির্বাহী পরিচালক বিপুল আশরাফ, সাংবাদিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান চাঁদ, সিনিয়র সাংবাদিক রফিকুল ইসলাম, শাহ আলম সনি, রফিক রহমান, খায়রুল ইসলাম, পলাশ উদ্দিন, উপজেলা লোকমোর্চার সাধারন সম্পাদক পারভীন লায়লা মালিক প্রমুখ।
এ সময় সংক্ষিপ্ত বক্তব্য দেন মাহফুজুর রহমান মনজু ও অধ্যাপক সিদ্দিকুর রহমান। তারা বলেন, চরম দূর্যোগের সময় সাধারন মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে বহুমুখী মানব কল্যাণ সংস্থা। ভয়াবহ রোদ গরমে এখন প্রয়োজন বেশি বেশি বিশুদ্ধ পানি। আর সেই কাজটি হাতে নিয়েছে বহুমুখী। এদের পাশাপাশি অন্যরা এগিয়ে আসলে শ্রমজীবী মানুষ আরো বেশি উপকৃত হবে ।
জেলার উপর দিয়ে পক্ষকালব্যাপী অতি তীব্র তাপদাহ চলছে এতে নিন্ম আয়ের খেটে খাওয়া মানুষ ও রাস্তায় চলাচলরত পথচারীরা মারাত্মক স্বাস্থ্য ঝুঁকির মুখে পড়েছে। অনেকের শরীরে পানি শুন্যতা সৃষ্টি হচ্ছে এর থেকে সামান্য পরিত্রাণ দিতে বহুমুখী মানব কল্যাণ সংস্থার নির্বাহী চেয়ারম্যান, সিনিয়র সাংবাদিক আহমেদ পিপুল এ উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। তিনি বলেন আমি সবসময় দিনমজুর, রিকসা চালক, ভ্যান চালক ও পথচারীদের এ দূর্যোগ মুহূর্তে সেবা দিয়ে যাবো। আগামীতেও বহুমুখী মানব কল্যাণ সংস্থা জনহিতকর কাজ করে মানুষের পাশে থাকতে চাই।
প্রতিদিন বেলা ১১টা থেকে বিকাল ৩ টা পর্যন্ত এ সেবা কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে। গতকাল হাসান চত্বর ও একাডেমি মোড়ে দুটি বুথ থেকে প্রায় ২ হাজার বোতল পানি ও ১ হাজার পিস স্যালাইন বিতরণ করা হয়। আগামী ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত প্রতিদিন ওই দুটি স্হানে পানি ও স্যালাইন বিতরণ অব্যহত থাকবে বলে জানিয়েছে সংস্থাটির কর্মকর্তারা।