চুয়াডাঙ্গায় কুতুবপুর ইউনিয়নে ভোট কারচুপির অভিযোগে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী ভোট বর্জন করেছেন।
চতুর্থ ধাপের ইউপি নির্বাচনে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার কুতুবপুর ইউনিয়নের স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী (চশমা মার্কা) জুয়েল রানা সাংবাদিকদের উদ্দেশ্য বলেন, ভোটের আগের রাত থেকেই কিছু সন্ত্রাসী অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে আমার কর্মীদের হুমকি-ধমকি দেয়। ভোট শুরু হলে কেন্দ্র থেকে আমার নির্বাচন এজেন্টদের মারধর করে বের করে দেওয়া হয়েছে। ব্যালট পেপার নিজ হাতে সিল মেরে নিয়েছে। নির্বাচনে সুষ্ঠু পরিবেশ না থাকায় ভোট বর্জনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছি।
এসময় জুয়েল রানা ভোট বর্জন করে সংবাদ সম্মেলনে সংবাদকর্মীদের নিকট এসব অভিযোগ করে কান্নায় ভেঙে পড়েন।
স্বতন্ত্র প্রার্থীরা বলেন, ভোট শুরু হলে কেন্দ্র থেকে আমার নির্বাচনী এজেন্টদের মারধর করে বের করে দেওয়া হয়। ব্যালট পেপার নিজ হাতে সিল মেরে নেয়। এখনো আমার নেতাকর্মীদের ওপর মারধর চলছে। কেউ কেউ হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
ব্যাপক জনসমর্থক থাকা সত্ত্বেও আমার মতো একজন প্রার্থীকে অনিয়মের কারণে নির্বাচন বর্জন করতে হচ্ছে। নির্বাচন-পরবর্তীতে আমার ইউনিয়নের নেতা-কর্মীদের ওপর অত্যাচার না করে আপনাদের সহযোগিতা চাচ্ছি বলে কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি।
চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার কুতুবপুর ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৬ জন প্রার্থী। তারা হলেন- আওয়ামী লীগ মনোনীত আলী আহম্মেদ হাসানুজ্জামান (নৌকা), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আজিজুল হক (হাতপাখা), স্বতন্ত্র প্রার্থী শাখাওয়াত হোসেন (আনারস), আক্তার হোসেন রনি (ঘোড়া), জুয়েল রানা (চশমা) ও নজরুল ইসলাম (মোটরসাইকেল)। এ ইউনিয়নের ৯টি সাধারণ ওয়ার্ডে ৪৩ জন সদস্য পদে ও ৩টি সংরক্ষিত ওয়ার্ডে ১০ জন মহিলা সদস্য পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা নির্বাচন অফিসার ও সদর ইউনিয়ন নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা কামরুল হাসান বলেন, কুতুবপুর ইউনিয়নের চশমা প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী জুয়েল রানা ভোট বর্জন করেছেন কি না, জানি না। আমি কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।