চুয়াডাঙ্গায় ৫ম শ্রেণীর এক ছাত্রীকে শ্লীলতাহানীর ঘটনায় একই স্কুলের শিক্ষককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ওবাইদুল ইসলাম তুহিন (৩৫) নামের ওই শিক্ষক জেলার জীবননগর উপজেলার শাহপুর গ্রামের মৃত নুর মোহাম্মদ মন্ডলের ছেলে ও চুয়াডাঙ্গা শহরের কালেক্টরেট স্কুল এন্ড কলেজের সমাজ বিজ্ঞানের শিক্ষক।
গতকাল রোববার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে তাকে আটক করে পুলিশ। এ ঘটনায় দুপুরে স্কুল ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা শহরের কালেক্টরেট স্কুল এন্ড কলেজের সমাজ বিজ্ঞানের শিক্ষক ওবাইদুল ইসলাম তুহিনের কাছে প্রাইভেট পড়তো একই স্কুলের ৫ম শ্রেণীর এক ছাত্রী। প্রতিদিনের মতো রোববার সকাল পৌনে ১০টায় ওই ছাত্রী প্রাইভেট পড়তে যাই স্কুলের অদূরে সানফ্লাওয়ার স্কুলে। সেখানে প্রাইভেট পড়ার এক পর্যায়ে অন্য শিক্ষার্থীদের ছুটি দিয়ে দেই শিক্ষক তুহিন। ভুক্তভুগি শিক্ষার্থীকে ছুটি না দিয়ে বলে আরো অংক করতে হবে। অংক করার এক পর্যায়ে খাতা দেখার সময় ওই শিক্ষার্থীর স্পর্শকাতর স্থানে হাত দেয় শিক্ষক। এসময় শিক্ষার্থী কান্নাকাটি করতে থাকে। পরে আবারও জাপটে ধরতে চাইলে শিক্ষার্থী দৌড়ে পালানোর সময় রাস্তায় ভুক্তভুগির মামা দেখে স্কুল শিক্ষার্থীকে বাড়িতে নিয়ে যায় এবং অভিভাবকের কাছে ঘটনা খুলে বলে। পরে ভুক্তভুগি শিক্ষার্থীর বাবা-মা চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় অভিযোগ করলে পুলিশ অভিযুক্ত শিক্ষক ওবাইদুল ইসলাম তুহিনকে গ্রেফতার করে।
চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহাব্বুর রহমান জানান, ভিকটিম স্কুল ছাত্রীর ২২ ধারায় জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়েছে। আর গ্রেফতারকৃত শিক্ষক ওবাইদুল ইসলাম তুহিনকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
চুয়াডাঙ্গা কালেক্টরেট স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ মো. মাসুদুজ্জামান বলেন, তুহিন সমাজ বিজ্ঞানের শিক্ষক হলেও ছোটদের ক্লাসে সে গণিত নিতো। এমন একটা জঘন্ন কাজ করবে আমরা কখনো ভাবিনি। প্রতিষ্ঠানটির একটা সুনাম তৈরি হয়েছিলো। আমরা চাই, দোষীর সবোর্চ্চ শাস্তি হোক।