চুয়াডাঙ্গা সদর থানাধীন মাখালডাঙ্গা গ্রামের সিদ্দিকুর রহমানের নাবালিকা কন্যা মোছাঃ সুমাইয়া আক্তার(১৪) তার নিজ বসতঘরে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা চালায়। তাকে উদ্ধার করে গুরুতর আহত অবস্থায় চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করলে, চিকিৎসাধীন অবস্থায় সুমাইয়া আক্তারের মৃত্যু হয়।
সুমাইয়া আক্তারের আত্মহত্যার ঘটনাটি জানাজানি হলে ঘটনাক্রমে জানা যায় যে ঘটনা রাত্রে সিদ্দিকুর রহমানের বাড়ির পাশে সাধুসঙ্গ ফকিরি গান হচ্ছিল। সিদ্দিকুর রহমানের বন্ধু লোকমান রহমান (৩৫) পিতা-মৃত জামাল গ্রামঃ নওদাপাড়া কুষ্টিয়া ।
সিদ্দিকুর রহমানের মেয়ে উল্লেখিত সময়ে সুমাইয়া আক্তারকে তারই বাড়ির মধ্যে একলা পেয়ে যৌন নির্যাতন করে।। এটা জানাজানি হলে লোকলজ্জা ও সম্ভ্রমহানির প্রত্যক্ষ কারণে এই সুমাইয়া আক্তার আত্মহননের পথ বেছে নেয়।
ঘটনাটি এলাকার আলোচিত ঘটনা হাওয়ায় ভিকটিমের বাদী মোঃ সিদ্দিকুর রহমান উল্লেখিত আসামি লোকমান ও তার গানের দলের সদস্য মোঃ শান্তি (৫০) আসামি করে একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করলে, চুয়াডাঙ্গা সদর থানার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ এর ৯ক/৩০ রুজু করা হয় ।
মঙ্গলবার মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই হাসানুজ্জামান ইন্সপেক্টর (অপারেশন) একরামুল হোসেনের নেতৃত্বে চুয়াডাঙ্গা সদর থানা পুলিশের একটি চৌকস টিম গোপন তথ্যের ভিত্তিতে এজাহার নামীয় পলাতক ২ নং আসামী মোঃ শান্তি (৫০),খাদিমপুর আলমডাঙ্গার মৃত ইয়াজউদ্দিন ছেলেকে টাঙ্গাইল জেলার ভূঞাপুর থানাধীন অর্জুনা গ্রাম হইতে গ্রেপ্তার করা করে।
এজাহারনামীয় পলাতক অপর আসামিদের গ্রেপ্তার অভিযান চলছে বলে জানিয়েছেন চুুয়াডাঙ্গা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ আবু জিহাদ ফখরুল আলম খান ।