ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ছাত্রলীগ নেতা মিজানুর রহমান লালনের বিরুদ্ধে করা ১০০ কোটি টাকার মানহানির মামলা থেকে অব্যাহতির রিভিশন গ্রহণ করেছে আদালত।
মামলায় আসামি লালন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাবেক ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক ও অর্থনীতি বিভাগের ২০১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। ওই মামলার বাদী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক প্রক্টর ও ইইই বিভাগের প্রফেসর ড. মাহবুবর রহমান।
গত মঙ্গলবার মামলার বিবাদী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট হাসানুল আসকার হাসু এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এর আগে গত রোববার বিজ্ঞ কুষ্টিয়া জেলা ও দায়রা জজের বিচারক শেখ মোহাম্মদ আবু তাহের এ রায় দেন বলে তিনি জানান।
মামলার আইনজীবী বলেন, কোর্ট ডিবিসির সম্পাদক মঞ্জুরুল ইসলামকে আগেই ডিসচার্জ (অব্যাহতি) করেছে। লালনের বিরুদ্ধে নিম্ন আদালন চার্জ গঠন করেছিল। এটি সঠিক হয়নি মর্মে আমরা জজ কোর্টে রিভিশন করি। কোর্ট আমাদের রিভিশন গ্রহণ করেছে। অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে কি-না জানতে চাইলে তিনি বলেন, জাজমেন্টের কপি এখনো হাতে পাইনি। পূর্ণাঙ্গ রায় না আসা পর্যন্ত বলতে পারছি না।
জানা গেছে, ২০১৯ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর বেসরকারি টিভি চ্যানেল ডিবিসি নিউজে প্রচারিত ‘মানচিত্র: বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে অস্থিরতা’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে সাক্ষাৎকার দেন মিজানুর রহমান লালন। সেখামে তিনি ড. মাহবুবের ছাত্র থাকাকালীন শিবিরের সাথে সংশ্লিষ্টতা, বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়োগ বানিজ্যে জড়িত থাকা, প্রক্টর থাকাকালীন ছাত্রলীগ কর্মীদের উপর গুলি চালানোসহ নানান অভিযোগ করেন।
সেই প্রেক্ষিতেই অভিযোগ মিথ্যা দাবি করে একই বছরের ১৭ অক্টোবর কুষ্টিয়া জেলা দায়রা ও জজ আদালতে মিজানুর রহমান লালন ও ডিবিসি নিউজের প্রধান সম্পাদকক মুনজুরুল ইসলামকে বিবাদী করে ১০০ কোটি টাকার মানহানির মামলা দায়ের করে ড. মাহবুবুর রহমান। এ মামলায় এক বছর আগেই নিম্ন আদালত ডিবিসির সম্পাদককে অব্যাহতি দিয়েছিলেন বলে জানা গেছে।
এ বিষয়ে ছাত্রলীগ নেতা মিজানুর রহমান লালন বলেন, আমার আইনজীবী জানিয়েছে- মামলা থেকে অব্যাহতি পেয়েছি। জেলা জজ রিভিশন আবেদন গ্রহণ করেছে। আমি তার (মাহবুব) বিরুদ্ধে যে অভিযোগ তুলেছিলাম, আদালতে সেগুলো সত্য বলে প্রমাণিত হয়েছে। জেলা জজের পেশকারও জানিয়েছে মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। আমাকে মিথ্যা মামলায় হয়রানির প্রতিবাদে আমিও মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছি।
তবে মামলা থেকে তাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়নি বলে দাবি করেছেন বাদী প্রফেসর ড. মাহবুবর রহমান। তিনি বলেন, নিম্ন আদালত তার বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করে। তখন সে জজ কোর্টে রিভিশনের (আপিল) জন্য আবেদন করে। বিজ্ঞ জেলা জজ তাকে নির্দোষ বলেনি। আমাকে বলেছেন, এটি খুলনা সাইবার ট্রাইব্যুনালে মামলা করতে হবে। জেলা জজ কোর্টে নয়।