জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন এমপি বলেন, মেহেরপুর জেলায় সদ্য সমাপ্ত ৪টি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন ইভিএমে সুশৃংখল পরিবেশে স্বচ্ছ ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। ভোট কেন্দ্রে মানুষের ব্যাপক উপস্থিতিই প্রমাণ করে অত্যন্ত প্রতিদ্বন্দ্বীতাপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। অবাধ ও প্রতিদ্বন্দ্বীতাপূর্ণ নির্বাচন গণতন্ত্রের মুল বিষয়। সকলেই বাধাহীনভাবে কার্যক্রম চালিয়েছেন। তাই ৮১ ভাগ ভোট প্রদান করেছেন মানুষ। সুন্দরভাবে মানুষ তাদের মতামত প্রয়োগ করেছেন।
মেহেরপুর সদর উপজেলার ৪ টি ইউনিয়ন পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যানদের শপথ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন এমপি।
বুধবার সকাল ১০ টার সময় মেহেরপুর জেলা প্রশাসনের সম্মেলন কক্ষে নবনির্বাচিত আমঝুপি, পিরোজপুর নবগঠিত শ্যামপুর ও বারাদী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।
মেহেরপুর জেলা প্রশাসক ড. মুনসুর আলম খান নবনির্বাচিত এসব চেয়ারম্যানদের শপথ বাক্য পাঠ করান। এসময় তিনি আলোচনা সভায় সভাপতিত্বও করেন।
ডিডি এলজি মৃধা মুজাহিদুর রহেমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত শপথ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ফরহাদ হোসেন আরো বলেন, নবনির্বাচিত শপথ গ্রহণকারীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আজ থেকে আগামী পাঁচ বছর ব্যাপি আপনাদের নতুন উদ্যোমে কাজ করতে হবে। জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হওয়ার পর সেই জনপ্রতিনিধি তখন গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় একজন নেতা হিসেবেই নির্বাচিত হন। জনপ্রতিনিধিদের সাধারণ মানুষকে সেবা দেওয়ার মানষিকতা তৈরী করতে হবে।
জনপ্রতিনিধিদের মনে রাখতে হবে, আপনি যখন নির্বাচিত হয়ে গেলেন, তখনই ওই এলাকার সব মানুষের প্রতিনিধি হয়ে গেলেন। তিনি বলেন, আমরা সকলেই জনপ্রতিনিধি হিসেবে শপথ নিয়েছি। ভীতি বা অনুগ্রহ, অনুরাগ বা বিরাগের বসিভূত না হয়ে সততা, নিষ্ঠা রেখে সকলের প্রতি আইন অনুযায়ী নিষ্ঠার সাথে পদের দায়ীত্ব ও কর্তব্য পালন করতে হবে। মনে রাখতে হবে, আপনি কাউকে সেবা বা অনুগ্রহ করছেন না। জনগণের ন্যায্য অধিকার বাস্তবায়ন করছেন।
আর্টিকেল ৭ এর কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, বাংলাদেশের সংবিধানমতে জনগনই সকল ক্ষমতার উৎস। জনগণ ভোট দিয়ে তাদের জনপ্রতিনিধি নির্বাচন করে থাকেন। তাই সকল শক্তিই এই জনগণ। জনগণ যেভাবে জনপ্রতিনিধিকে চাইবে একজন জনপ্রতিনিধি সেভাবেই কাজ করবেন। আর এগুলোই জনপ্রতিনিধিদেরকে চর্চা করতে হবে। আর এই চর্চার মধ্য দিয়েই এদেশকে সোনার বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তুলতে হবে।
তিনি আরও বলেন, জনগণ আমাদের জনপ্রতিনিধি নির্বাচন করেন। একজন জনপ্রতিনিধি অনুকরনীয়ভাবে চলতে হবে। তাকে দেখে যাতে করে তাকে দেখে ওই এলাকার লোকজন গর্ববোধ করেন। তার যে আচরণ, ব্যবহার, কর্ম তাকে সবকিছুর উর্দ্ধে থেকে কাজ করতে পারেন। তাকে দেখে অন্যরা শিখবে। তাই সবাইকে আচরণ ভাল করতে হবে। তিনি বলেন আচরণ বংশের পরিচয় আর কাজ যোগ্যতার পরিচয়। তিনি বলেন মানুষ আপনার আচরণ দেখে মানুষ বুঝবে আপনি কোন পরিবারের থেকে এসেছেন।
এসময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও গাংনী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এম এ খালেক, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক নাজমুল হুদা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জামিরুল ইসলাম, মেহেরপুর পৌর সভার মেয়র মাহফুজুর রহমান রিটন, গাংনী পৌর মেয়র আহমেদ আলী, মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক অ্যাডভোকেট ইব্রাহিম শাহীন, জেলা বঙ্গবন্ধু শিক্ষা ও গবেষণা পরিষদের সভাপতি হাসানুজ্জামান মালেক সহ প্রশাসনের অন্যান্য কর্মকর্তা, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ শপথ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।