করোনার কারণে দীর্ঘ এক বছর ধরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। বর্তমানে করোনার প্রাদুর্ভাব কিছুটা কমে যাওয়ায় সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেওয়ার চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে। এ নিয়ে দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা আন্দোলনও শুরু করেছে। এ অবস্থায় আজ (সোমবার) জরুরি সংবাদ সম্মেলনে আসছেন শিক্ষামন্ত্রী।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, করোনাকালে উচ্চশিক্ষার বিভিন্ন বিষয় নিয়ে শিক্ষামন্ত্রী অনলাইন সংবাদ সম্মেলন করবেন। সোমবার দুপুর ২টায় এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে।
গত বছরের ১৭ মার্চ থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। কয়েক ধাপে বাড়ানোর পর ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা নিয়ে ৩০ জানুয়ারি উচ্চ মাধ্যমিক ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা আশা করছি হয়তো আগামী মার্চ-এপ্রিল…..মার্চ মাসটা আমরা দেখবো, কারণ আমাদের দেশে মার্চ মাসেই ব্যাপকহারে করোনাভাইরাস শুরু হয়েছিল। এই ফেব্রুয়ারি মাস নজরে রাখব। যদি ফেব্রুয়ারিতে ভালো থাকে পরবর্তীতে সীমিত আকারে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার চিন্তা ভাবনা আছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এজন্য দরকার সবাইকে স্বাস্থ্য সুরক্ষা মেনে চলা ও করোনাভাইরাস মোকাবেলায় যা যা ব্যবস্থা আছে তা গ্রহণ করা। আর ভ্যাকসিন তো সবাই পেয়ে যাবেন।’
গত ২২ জানুয়ারি করোনা পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলতে গাইডলাইন প্রকাশ করে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতর। এ গাইডলাইন অনুসরণ করে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার প্রস্তুতি নিতে বলা হয়। স্কুল-কলেজগুলোতে ৩৯ পাতার গাইডলাইন পাঠিয়ে বলা হয়, ৪ ফেব্রুয়ারির মধ্যে স্কুলগুলো প্রস্তুত করে রাখতে, যাতে যে কোনো মুহূর্তে সেগুলো খুলে দেয়া যেতে পারে।
সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী ফেব্রুয়ারি মাসে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা হচ্ছে না। তবে পহেলা মার্চ থেকে দেশের সব পাবলিক-প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেওয়ার চিন্তাভাবনা চলছে। সে কারণে আজ দুপুরে শিক্ষামন্ত্রী জরুরি সংবাদ সম্মেলন ডেকেছেন।