যে সব লোক প্রচুর শিল্প প্রক্রিয়াজাত জাঙ্ক ফুড খান তাদের বয়স বাড়ার সাথে জড়িত ক্রোমোজোমে পরিবর্তনের সম্ভাবনা বেশি থাকে। মঙ্গলবার এক অনলাইন সম্মেলনে বিশেষজ্ঞরা এ কথা বলেন।
স্থূলতা বিষয়ে ইউরোপীয় এবং আন্তর্জাতিক সম্মেলনে বিজ্ঞানীরা বলেছেন, “অতি প্রক্রিয়াজাত খাবার” যারা দিনে তিনবার অথবা অধিকার গ্রহণ করেন, তাদের ডিএনএ এবং ক্রোমোজোমের শেষে পাওয়া টেলোমিরেস নামের প্রোটিনের তারতম্য দ্বিগুণ হবে, যারা এই জাতীয় খাবার কম গ্রহণ করেন তাদের ক্ষেত্রে এই তারতম্য সংক্ষিপ্ত হবে।
সংক্ষিপ্ত টেলোমিরেস কোষ স্তরে বার্ধক্যের গতি নির্ধারণকারী এবং সমীক্ষায় বলা হয়, কোষগুলো বার্ধক্যের দিকে ধাবিত হওয়ার একটি কারণ এই জাঙ্ক ফুড।
বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, বার্ধক্যের সঙ্গে জাঙ্ক ফুডের জোরালো সম্পর্ক রয়েছে তবে জাঙ্কফুড ও সীমিত টেলোমিরেসের মধ্যে কার্যকারণ সম্পর্ক এখনো অনুমানের মধ্যেই রয়েছে।
প্রতিটি মানুষের কোষে ২৩ জোড়া ক্রোমোজোম রয়েছে, এতে আমাদের জেনেটিক কোড ধারণ করা আছে। টেলোমিরেস জিনগত তথ্য বহন করে না। তবে ক্রোমোজোমগুলোর স্থায়িত্ব ও অখণ্ডতা রক্ষার জন্য এটি গুরুত্বপূর্ণ এবং বর্ধিতভাবে ডিএনএ আমাদের দেহের সকল কোষের কার্যক্রম পরিচালনা করে।
বয়স বাড়ার সাথে সাথে স্বাভাবিকভাবেই আমাদের টেলোমারগুলো সংক্ষিপ্ত হতে থাকে কারণ প্রতিটি কোষ বিভাজনকালে টেলোমিরের কিছু অংশ হারিয়ে যায়। টেলোমিরের দৈর্ঘ্য হ্রাস পাওয়া জৈবিক বার্ধক্যের একটি মার্কার বা মানদণ্ড।
স্পেনের ইউনিভার্সিটি অব নাভাররার প্রফেসর মারিয়া বেস-রাসতোল্লো এবং এমেলিয়া মার্তির নেতৃত্বাধীন বিজ্ঞানীরা জাঙ্কফুড গ্রহণ এবং টেলোমারের দৈর্ঘ্য সংক্ষিপ্ত হওয়ার মধ্যে সম্পর্ক রয়েছে বলে তাদের ধারণা প্রকাশ করেন।
সূত্র- ইত্তেফাক