চুয়াডাঙ্গার জীবননগর থানাধীন বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন কাঠপট্টিতে গতকাল ১৫ মে রাত একটার সময় আকস্মিক আগুন লাগে। আগুন লাগার সংবাদ পেয়ে জীবননগর ফায়ার সার্ভিস দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনতে না পারলে পরবর্তীতে দর্শনা ফায়ার সার্ভিস ও মহেশপুর ফায়ার সার্ভিস ও জীবননগর থানা টহল পুলিশের যৌথ প্রচেষ্টায় আনুমানিক ৩ ঘন্টা চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রনে আসে।
ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে ০৬ (ছয়)টি ছোট বড় কাঠের ফার্নিচারের দোকান পুড়ে যায়। উক্ত অগ্নিকান্ডের ঘটনায় ক্ষতির পরিমান আনুমানিক ১,০০,০০,০০০/- (এক কোটি) টাকা। বর্ণিত ঘটনার বিষয়ে জীবননগর থানায় এসে বাদী মোঃ শহিদ(৪০), পিতা-মৃত ওসমান গণি,সাং-বাঁকা আশতলাপাড়া,থানা-জীবননগর, জেলা-চুয়াডাঙ্গার কর্তৃক দায়েরকৃত অভিযোগের প্রেক্ষিতে জীবননগর থানায় আজ বৃহস্পতিবার মামলা নং-০৮ ধারা-৪৩৬ পেনাল কোড রুজু করা হয়।
চুয়াডাঙ্গা জেলার পুলিশ সুপার আর এম ফয়জুর রহমান, পিপিএম-সেবা ঘটনার সাথে জড়িত প্রকৃত আসামী গ্রেফতারের জন্য কিছু কৌশল জীবননগর থানার অফিসারদের নির্দেশনা অবলম্বনের পরামর্শ দেন।জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জের নেতৃত্বে পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোঃ একরামুল হোসাইন, এসআই(নিঃ) দিপু মন্ডল সহ জীবননগর থানা পুলিশের চৌকস টিম ঘটনার পরপরই জীবননগর পৌরসভা বাজারস্থ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ এলাকার সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ পূর্বক ফুটেজ পর্যালোচনা করতঃ ঘটনার সাথে জড়িত আসামী গ্রেফতারের জন্য জীবননগর থানাধীন বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করেন।
সিসি ফুটেজ পর্যালোচনা ও গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আজ বৃহস্পতিবার সকাল এগারোটার সময় জীবননগর থানাধীন শিয়ালমারী পশুহাট এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ঘটনার সাথে জড়িত আসামী ১। সোনা মিয়া (২৫), পিতা-মোঃ রমজান আলী, সাং-একতারপুর, ২। মোঃ শামীম হোসেন (২৯) পিতা-মোঃ খেজমত আলী, সাং-বসতীপাড়া, উভয় থানা-জীবননগর, জেলা-চুয়াডাঙ্গাদ্বয়কে সনাক্ত পূর্বক গ্রেফতার করেন।আসামীদের ঘটনার বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তারা ঘটনার বিষয়ে জড়িত মর্মে স্বীকার করে। অগ্নিকান্ডের ঘটনায় ব্যবহৃত ১নং আসামীর একটি হিরো-১০০ সিসির মোটরসাইকেল উদ্ধার পূর্বক জব্দ করা হয়।