জীবননগরে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধ সংক্রান্ত বিষয়ে জরুরি আলোচনা সভায় সিদ্ধান্ত ,জীবননগর শহরে আমবাজার বন্ধকরাসহ ,আজ থেকে জীবননগরে ১৪ দিনের লকডাউন ঘোষনা করা হয়েছে । লকডাউন না মানলে জেল জরিমানাসহ কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে।গতকাল মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টার সময় জীবননগর উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে উপজেলা পরিষদের হলরুমে এ জরুরি আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
জীবননগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার এস এম মুনিম লিংকনের সভাপতিত্বে এ সময় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের সংসদ সদস্য হাজী আলী আজগার টগর।এ সময় প্রধান অতিথি বলেন,অর্থের চেয়ে মানুষের জীবনের মুল্যে অনেক বেশি।বেচে থাকলে সবাই অর্থ সম্পদ করতে পারবে ।তাই আমাদের সকলের উচিৎ নিজ নিজ দায়িত্বে সচেতন হওয়া এবং অন্যকে সচেতন করা।করোনা ভাইরাস একটি মারাত্বক ভাইরাস এর কাছে কোন মানবতা নাই ।যেখানে লোকসমাগোম বেশি সেখানে এ ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়ে।
জীবননগর শহরের মধ্যে কোন লোকসমাগোম করতে দেওয়া যাবে না ।এ জন্য আম বাজারটি এখান থেকে তুলে অন্য কোথাও নিতে হবে।মানুষের নিরাপত্তার খেত্রে যা করার দরকার সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।সকাল ৬টা থেকে বেলা ১২টা পর্যন্ত শুধু মাত্র কাচা বাজার ও মুদি দোকান খোলা থাকবে আর সব বন্ধ থাকবে ।চিকিৎসার জন্য সমস্থ চিকিৎসা কেন্দ্রগুলো ও ফার্মেসী খোলা থাকবে ।প্রয়োজন ছাড়া কেউ বাজারে বেল হলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।এবং আগামি বুধবার সকাল ৬টা থেকে ১৪ দিনের জন্য কঠোর লকডাউন দেওয়া হল।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন জীবননগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হাজী হাফিজুর রহমান,উপজেলা আওয়ামলীগের সভাপতি গোলাম মোর্তুজা,সাধারন সম্পাদক নজরুল ইসলাম,জীবননগর পৌর মেয়র রফিকুল ইসলাম,জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্্েরর পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ সেলিমা আকতার,জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি)সাইফুল ইসলাম ।মনোহরপুর ইউপি চেয়ারম্যান সোহরাব হোসেন,হাসাদহ ইউপি চেয়ারম্যান রবিউল ইসলাম,রায়পুর ইউপি চেয়ারম্যান আঃ রশিদ শাহ।জীবননগর প্রেস ক্লাবের সভাপতি এম আর বাবু,জীবননগর সাংবাদিক সমিতির সভাপতি জাহিদ বাবু প্রমুখ।