জীবননগরে ড্রাগন ও মাল্টা চাষে নিজের ভাগ্য পরিবর্তনের আশা করছেন কৃষকরা। দক্ষিন পশ্চিম অঞ্চলের ছোট্ট একটি জেলা চুয়াডাঙ্গা। এ জেলাটি ফলের জেলা হিসাবেই পরিচিত চুয়াডাঙ্গা জেলার ছোট একটি উপজেলা জীবননগর এটি একেবারে সীমান্ত ঘেষা। জীবননগর শহর থেকে মাত্র ৪-৫ কিলোমিটার দুরে ভারতীয় সীমানা।
এ উপজেলার বেশির ভাগ মানুষ কৃষির উপর নির্ভরশীল ধান, মুগ চাষের পাশাপাশি বর্তমান এ উপজেলার কৃষকরা বিদেশী ফল ড্রাগন ও মাল্টা চাষে বেশী উৎসাহিত হয়ে পড়েছেন । তাছাড়া ড্রাগন ফল ঔষধ হিসাবে ব্যবহার হওয়ায় এ চাষে আরও বেশী ঝুকে পড়েছেন কৃষকরা ।
ড্রাগন ফল চাষী উপজেলার কেডিকে ইউনিয়নের কাশিপুর মাঠ পাড়ার শাওন বলেন ড্রাগন ফল চাষে প্রথম দিকে খরচ বেশি হলেও এটি একটি লাভজনক চাষ । ড্রাগন গাছটি বিদেশী তাই সচার আচার এ গাছটি পাওয়া যায় না । তাছাড়া ড্রাগন গাছ দেখতে অনেকটা সাপের মত যার ফলে এ চাষটি দেখতে জীবননগর উপজেলা সহ বেশ কয়েকটি জেলার লোকজন জমিতে আসে এবং এ চাষটি করার জন্য অনেক কৃষক ইচ্ছা প্রকাশ করছেন ।
একই কথা বলেন উপজেলার বাঁকা গ্রামের মাল্টা চাষী জাহিদ বাবু , তিনি বলেন আমি শুরুতে পেয়ারার চাষ শুরু করি এবার নতুন করে অল্প পরিসর জমিতে মাল্টা চাষ শুরু করেছি ।
তবে কৃষি বিভাগ যদি একটু সহযোগিতা করত তা হলে এ চাষটিতে একদিকে যেমন লাভবান হওয়া যেত তেমনি দেশের অনেক বেকার যুবকদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হত ।
জীবননগর উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোর্শেদ আলী বলেন ড্রাগন ও মাল্টা চাষটি এ উপজেলায় একেবারে নতুন চাষ হচ্ছে তবে বর্তমানে এ চাষের দিকে কৃষকরা অনেক উৎসাহিত বলে ধারনা করা হচ্ছে। তবে আশা করা যায় এ চাষটি এ উপজেলাতে যে ভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে তাতে করে একদিন এ চাষগুলো জীবননগর উপজেলা ছাড়িয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে পড়বে।
জীবননগর প্রতিনিধি: