জীবননগরে নিখোঁজের চার দিন পর আবু সাইদ (২৭) নামে এক ব্যবসায়ীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
আজ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে জীবননগর পৌর সভার ৮নং ওয়াডের বসুতিপাড়ায় কোরিয়ান প্রবাসী কবিরের নির্মাণাধীন ভবনের লিফটের বেসমেন্টে লাশটি দেখে স্থানীয় জনগণ জীবননগর থানা পুলিশ খবর দেয়।
নিহত আবু সাইদ জীবননগর হাইস্কুলপাড়ার আব্দুল রইচের ছোট ছেলে। নিহত আবু সাঈদ জীবননগর পৌর শহরের ইয়ান সু-স্টোরের মালিক।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, সকালে প্রবাসী কবিরের নির্মাণাধীন সাততলা ভবনের লিফটের বেসমেন্ট থেকে পচা দুর্গন্ধ বের হচ্ছিল। পরে তারা সেখানে একটি লাশ দেখে পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে দুপুর ১টা ৩০মিনিটের দিকে লিফটের একটি অংশ ভেঙ্গে লাশ উদ্ধার করে পুলিশ হেফাজতে নিয়ে যান।
আবু সাঈদের বড় ভাই আবু হাসান বলেন, ‘আবু সাঈদ ২ এপ্রিল ভোরে মসজিদে ফজরের নামাজ আদায় করতে বাড়ি থেকে বের হয়েছিল। এরপর আর বাড়ি ফেরেনি। আমরা তাকে অনেক খোজাখুজি করেছি কিন্তু তার কোন সন্ধান পায়নি, এর একদিন পর আমার ভাইয়ের মোবাইল ফোন থেকে অজ্ঞাত এক ব্যক্তি আমার কাছে ফোন করে আমি তার পরিচয় জানতে চাইলে সে তার পরিচয় গোপন করে ফোনটি বন্ধ করে রাখে। পরে একটা ইন্টারনেট নম্বর থেকে এক ব্যক্তি ফোন করে বলেন, ১৫ হাজার টাকা দিলে আমার ভাইয়ের খোঁজ দেবেন। টাকা না দিলে তার খোঁজ পাওয়া যাবে না বলে আমাকে হুমকি প্রদান করে।
এ ঘটনার পর আমরা জীবননগর থানায় একটি সাধারন ডায়েরী করেছিলাম। আজ সকালে যখন শুনতে পারি বসুতি পাড়ার একটি বাড়ি থেকে অঙ্গাত একটি লাশ উদ্ধার হয়েছে। আমি সেখানে যেয়ে আমার ভায়ের পরনে লুঙ্গি ও গেঞ্জি দেখে চিনতে পারি যে এটা আমার ভায়ের লাশ । নিহত সাঈদের বাবা রইচ উদ্দিন লাশ দেখে দিশেহারা হয়ে পড়েন এবং যারা তার ছেলেকে হত্যা করেছে তাদের ফাসির দাবি করেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে জীবননগর থানার অফিসার ইনর্চাজ (ওসি) মো. নাসির উদ্দীন মৃধা বলেন, ‘লাশ উদ্ধারের পর পরিবারের সদস্যরা লাশটি শনাক্ত করেছেন।’ চুয়াডাঙ্গা সদর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার আনিসুজ্জামান বলেন, উদ্ধারকৃত লাশটি পানির মধ্যে থাকায় ‘লাশ পচে গেছে। লাশ ময়না তদন্তের জন্য চুয়াডাঙ্গা মগে পাঠানো হয়েছে । এ বিষয় নিয়ে পুলিশ মাঠে কাজ করছে আসল ঘটনা উদঘাটনের জন্য চেষ্ঠা করা হচ্ছে। এদিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে পিবিআই, সিআইডি, র্যাব ও ডিবির সদস্যরা।