চুয়াডাঙ্গার জীবননগরে ২য় শ্রেণির স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণ শেষে গলাকেটে হত্যা করেছে । আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে জীবননগর উপজেলার সীমান্ত ইউনিয়নের গোয়ালপাড়া গ্রামের হাড়ভাংগা মাঠ নামক স্হানে ওই ঘটনা ঘটে।
নিহত মরিয়ম খাতুন (১০) উপজেলার গোয়ালপাড়া গ্রামের ইকবাল হোসেনের বড়ো মেয়ে। সে স্থানীয় কিন্ডারগার্টেন স্কুলের দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রী ছিল। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে নিহত শিশুর বিবস্ত্র মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ঘটনার পরপরই চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার আর এম ফয়জুর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস) নাজিম আল আজাদ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (দামুড়হুদা-জীবননগর সার্কেল) জাকিয়া সুলতানা, ঘটনা স্থল পরিদর্শন করেছেন।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, দুপুরে চার বান্ধবীর সাথে ছাগলের জন্য ঘাষ কাটতে এবং বেতের শাক তুলতে বাড়ির পার্শ্ববর্তী হাড়িভাঙ্গা মাঠে যায় ওই শিশু। এসময় ঘাষ কেটে দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে মাঠের একটি ভুট্টা ক্ষেতে নিয়ে তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে অজ্ঞাত এক যুবক। পরে ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলাকেটে হত্যা নিশ্চিত করে। ঘটনার সময় ভয়ে পালিয়ে এসে বাড়িতে খবর দেয় তার সতীর্থরা।পরবর্তীতে ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই শিশুর বিবস্ত্র গলাকাটা মরদেহ দেখতে পায় এলাকাবাসী।
মেয়ের চাচী সেলিনা খাতুন বলেন,দুপুরের দিকে মরিয়মসহ আরো ৩/৪জন বাচ্চা গোয়ালপাড়া হাড়ীভাংঙ্গা মাঠে সবজি তুলতে যায়।সেখানে সাথে থাকা তিনজন বাচ্চা পালিয়ে যায় এবং বাড়িতে কান্নাকাটি করে বলে। মরিয়মকে একজন ব্যাক্তি হাসুয়া দেখিয়ে ভুট্টা ক্ষেতের দিকে নিয়ে গেছে। আমরা খবর পেয়ে দ্রুত হাড়িভাংঙ্গা মাঠে পৌঁছিয়ে চারিদিকে খোঁজাখুজি করি। এর পরে আলতাফ ময়রার ছেলে আলী হোসেনের ভুট্টা ক্ষেতের ভিতর উলঙ্গ অবস্হায় মরিয়মের মরাদেহ দেখতে পায়।
চুয়াডাঙ্গা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস) নাজিম উদ্দীন আল আজাদ বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে নিহত শিশুর বিবস্ত্র মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ধর্ষককে চিনে ফেলায় ওই শিশুকে গলাকেটে হত্যা করা হতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। নিহত শিশুর মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য সুরহাতাল শেষে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হচ্ছে। ময়না তদন্তের পর জানা যাবে শিশুটিকে ধর্ষন করা হয়েছে কি না।ভিকটিমকে ধরতে পুলিশ প্রশাসন মাঠে কাজ করছে।