মিথ্যা মামলা ও মিথ্যা সংবাদ প্রকাশের প্রতিবাদে বাদির পক্ষের পক্ষ থেকে বৃহস্পতিবার বিকাল ৫ ঘটিকার সময় হাসাদাহ প্রেসক্লাবেএক সংবাদ সম্মেলন করেছেন সাইফুল ইসলাম।
সংবাদ সম্মেলনে মামলার বাদি পক্ষের পক্ষ থেকে লিখিত ভাবে সাইফুল ইসলাম বলেন যে, জীবননগর উপজেলা কর্ন্দপপুর গ্রামের মিজানুর রহমান এবং আমার চাচা মৃত, আঃ খালকের ছেলে বাবু একই পাড়াতে বসবাস করেন।
সেই সুত্রে মিজানুর রহমান আমার চাচাতো ভাই বাবুর বাড়ির উপর দিয়ে যাতায়াত করতেন। সে সময় বাবুর বসবাসের অসুবিধার কারনে মিজানুর কে তার বাড়ির উপর দিয়ে যেতে নিষেধ করাই মিজানুর রহমান এবং তার স্ত্রী ফেরদৌসি খাতুন কু পরামর্শ করে আমার ভাই বাবুর বিরুদ্ধে জীবননগর থানায় একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করেন ।
যেটি তদন্ত সাপেক্ষে মিথ্যা প্রমানিত হওয়ায় তা বাতিল হয়। সে সময় তার দাবিতে রাজি না হওয়ায় পুনরায় ফেরদৌসি খাতুন তার স্বামী মিজানুর রহমান, ভাবি নুরজাহান বেগম, এবং একই মহল্লাই বসবাসকৃত মিজানুরের বিয়াই লুৎফর রহমানকে সাক্ষী করে চুয়াডাঙ্গা কোর্টে একটি মিথ্যা ধর্ষন মামলা রুজু করেন।
মহামান্য আদালত সুষ্ট তদন্তের জন্য সেটিকে জীবননগর উপজেলা সমাজ সেবা অধিদপ্তর বরাবর তদন্তের জন্য প্রেরন করেন। সমাজ সেবা অধিদপ্তর সেটি সুষ্ট তদন্ত পূর্বক প্রতিবেদনে উল্লেখ করেন যে, বাদি ফেরদৌসি খাতুনের আনিত অভিযোগ সম্পুর্ন রুপে সঠিন নয় , এই মর্মে মহামান্য আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করে।
এর পর গ্রাম্য সালিশের জন্য হাসাদাহ ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ড সদস্য সোহেল রানা শ্যামল তাদের উভয় পক্ষ কে ডেকে মিমাংসার কথা বললে বাদি ফেরদৌসি বিবাদি বাবুর নিকট নগদ তিন লক্ষ টাকা এ রাস্তা বাবদ তিন কাঠা জমির দাবি করেন।
সংবাদ সম্মেলনে বিবাদি পক্ষ আরো বলেন যে , ফেরদৌসি খাতুনের প্রস্তাবে বিবাদি পক্ষ রাজি না হওয়ায় ফেরদৌসি খাতুন ঐ তদন্ত প্রতিবেদনের উপর না রাজি পিটশন দাখিল করে চিফ জুডিশিয়াল বরাবর তদন্ত প্রতিবেদন চান ।
সে সময় বাদি প্রতারক ফেরদৌসি খাতুন সাক্ষী নুরজাহান কে সাক্ষী দেওয়ার কথা বললে নুরজাহান ফেরদৌসির কথাই রাজি না হলে ফেরদৌসি খাতুন প্রতারনা করে নুরজাহানের পরিবর্তে জীবননগন বি.ডি.আর ক্যাম্পের নিকট বসবাসরত আনরুলের স্ত্রী ছামিনা খাতুন কে নুরজাহান সাজিয়ে বিজ্ঞ আদালতে সাক্ষী দেন।
যার সাক্ষীতে বিজ্ঞ আদালত আমার চাচাতো ভাইয়ের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরায়ানা জারি করেন। সে সময় বাবু নিজে সেচ্ছায় আদালতের উপর সম্মান দেখিয়ে বিজ্ঞ আদালতে আত্নসর্মপন করেন।
বর্তমানে তিনি চুয়াডাঙ্গা জেল হাজতে বন্দি আছেন। তারপরও প্রতারক ফেরদৌসি খাতুন থেমে নেই পুনরায় আমাদের নামে বিভিন্ন পত্র / পত্রিকায় তার প্রান নাশের হুমকি ধামকি দেওয়া হচ্ছে বলে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করেন।
আমরা এই সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যেমে এই মিথ্যা মামলা ও মিথ্যা সংবাদের তীব্রনিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি । যা আদেও সত্য না , যেটি সম্পুর্ন মিথ্যা এবং ভিক্তিহীন এবং বানোয়াট ।
এ সময় সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ঐ ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য সোহেল রানা শ্যামল ,বাবুর চাচাতো ভাই সাইফুল, স্ত্রী আরিফা, কন্যা নাছরিন আক্তার, ভাইয়ের স্ত্রী সাবরিনা খাতুন, ভাই রবিউল ইসলাম, ও অমেদুল ইসলাম।