জীবননগরে মেয়ের বিয়ের দিন বাবাকে হত্যা করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার জীবননগর উপজেলার সীমান্ত ইউনিয়নের গঙ্গাদাসপুর গ্রামে এই হত্যার ঘটনা ঘটে। নিহত কৃষক বাবলু রহমান গঙ্গাদাসপুর গ্রামের মৃত রমজান আলীর ছেলে।
হত্যার ঘটনায় জড়িত ঘাতক জমির হোসেনকে তার নিজ বাড়ি থেকে আটক করে পুলিশ। ৪নং সীমান্ত ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইসাবুল ইসলাম মিল্টন মোল্লা জানান, গতকাল বাবলুর মেয়ের বিয়ের দিন ধার্য ছিল।
সকালে বাবলু প্রতিবেশীর বাড়িতে যাওয়ার জন্য রাস্তায় বের হলে একই গ্রামের জমির হোসেন পেছন থেকে কোদাল দিয়ে মাথায় আঘাত করেন। এসময় বাবলু রক্তাত্ব অবস্থায় মাটিতে পড়ে যায়।
পরে স্থানীয় লোকজন বাবলু কে উদ্ধার করে জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে তাঁর মৃত্যু হয়। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, জমির হোসেন একজন বদমেজাজি। সে প্রায়ই এলাকার মানুষের সঙ্গে ঝামেলা করেন।
এবং দেশীয় হাসুয়া, রড, লাঠি দিয়ে মারধর করার জন্য ধাওয়া করেন। তার কারনে এলাকার সাধারন মানুষ আতঙ্কের মধ্যে দিন যাপন করতো। গতকাল ছিল বাবলুর মেয়ের বিয়ে। সে কারনে বাবলু তার ভাইদের বাড়িতে যাচ্ছিল ডাকতে।
এমন সময় জমির হোসেন পিছন থেকে এসে কোদাল দিয়ে বাবলুর মাথায় আঘাত করলে বাবলু রক্তাত্ব অবস্থায় মাটিতে পড়ে যায়।
এ সময় স্থানীয় লোকজন বাবলুকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য জীবননগর হাসপাতালে আনলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন।
জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডাঃ রাকবির হাসান বলেন, হাসপাতালে আনার আগেই বাবলুর মৃত্যু হয়েছে। হত্যার এ ঘটনার সংবাদ শুনে ঘটনা স্থান পরিদশন করেন দামুড়হুদা সাকেল এএসপি মুন্না বিশ্বাস।
এবিষয়ে জীবননগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল খালেক বলেন, গঙ্গাদাশপুর গ্রামে যে ঘটনা ঘটেছে এ ঘটনার সাথে জড়িত জমির হোসেনে ক গতকাল তার বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এবং লাশ ময়নাতদন্ত শেষে নিহতর পরিবারের সদস্যদের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।
এদিক নিহত দিনমজুর বাবলুর মৃত্যুতে গোটা পরিবারে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। হাসপাতালে পুলিশের একটি দল গেছে। এঘটনায় তদন্ত করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।