হাড়-কাঁপানো শীত ও ঘন কুয়াশায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জীবননগর উপজেলার জনজীবন। মাঘের শুরু থেকে হাড়-কাঁপানো তীব্র শীতে থমকে গেছে এই উপজেলার মানুষের জীবনযাত্রা। বিপাকে পড়েছে দিনমজুর ও ছিন্নমূল মানুষেরা। সবচেয়ে বেশি বিপদে পড়েছে শিশু ও বৃদ্ধরা।
জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, গত তিন দিনে জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে শীতজনিত ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা ৩০ জন ছাড়িয়েছে।
জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ঔষধ সংকট থাকায় চরম বিপাকে পড়েছেন ডায়রিয়া জনিত রোগে আক্রান্ত রোগীর পরিবার। এদিকে সকাল থেকে ঘন কুয়াশার কারণে রাস্তাগুলো ছিলো ফাঁকা, মহাসড়কগুলোতে দুই একটা যানবাহন চললেও ধীর গতিতে হেডলাইট চালিয়ে চলাচল করতে দেখা গেছে।
শীত নিবারণের জন্য অনেককে খড়-কুটা দিয়ে আগুন জ্বালাতে দেখা গেছে। জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার ডাঃ মাহমুদ বিন হেদায়েত সেতু বলেন, কয়েকদিন ধরে এই উপজেলার উপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ সঙ্গে হিম বাতাস। যার ফলে শিশুদের ডায়রিয়া ও ঠাণ্ডা জনিত নিউমনিয়া হচ্ছে।
হাসপাতালে যে সমস্ত রোগী ভর্তি হচ্ছে তাদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে এবং ঔষধ দেওয়া হচ্ছে। ঔষদের তুলনায় রোগীর সংখ্যা বেশি হওয়ায় একটু সমস্যা হচ্ছে তবে খুব শীঘ্রই এর সমাধান হয়ে যাবে।
এদিকে যে সমস্ত বাচ্চারা বাড়িতে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়েছে তাদের অবশ্যই বেশি করে স্যালাইন পানি খাওয়াতে হবে এবং শীতের সময় বাইরে বের হতে দেওয়া যাবে না ।