কম্পিউটারে কাজ করার সময় মাউসের ক্লিক বা ড্র্যাগ করার ঝামেলা অনেকাংশে কমানো সম্ভব, যদি কিছু শর্টকাট নিয়ম জানা থাকে। এতে একদিকে যেমন সময় সাশ্রয় হয়, তেমনি কাজ করতেও আনন্দ পাওয়া যায়। আজ জেনে নেওয়া যাক এমন কিছু শর্টকাট সম্পর্কে—
উইন্ডোতে থাকা কোনো একটি ট্যাব আপনার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু ভুল করে কিংবা কোনোভাবে চাপ লেগে সেটা ক্লোজ হয়ে গেলে চিন্তা নেই, ক্লোজ করা ট্যাব ফিরে পেতে আপনাকে কন্ট্রোল (কিংবা ম্যাকের ক্ষেত্রে ‘কমান্ড’)+শিফট+টি (T) চাপতে হবে। তবে এক্ষেত্রে সর্বশেষ যে ট্যাবটি ক্লোজ করা হয়েছে সেটি ফিরে আসবে। আর পরপর এগুলো চাপতে থাকলে ক্লোজ হওয়া সব ট্যাব একে একে আসতে থাকবে।
এবার ধরে নিন, আপনি শুধু স্ক্রিনের একটি নির্দিষ্ট অংশের স্ক্রিনশট নিতে চান। উইন্ডোজ কিংবা ম্যাকে আপনি খুব সহজেই এটা করতে পারবেন। ম্যাকের ক্ষেত্রে কমান্ড+শিফট+৪ চাপুন। তারপর যে জায়গাটির আপনি স্ক্রিনশট নিতে চান সেটা এখানে ড্র্যাগ করুন। হয়ে যাবে আপনার স্ক্রিনশট। আর উইন্ডোজের ক্ষেত্রে: এই কাজটি করার জন্য আপনাকে স্টার্ট অপশনে যাওয়ার পর স্নিপিং টুলে (Snipping Tool) প্রবেশ করতে হবে।
ভাবুন তো, মাত্র এক চাপেই আপনি ব্রাউজারে একটি নতুন লিংক খুলতে চান। কী করবেন? একেবারেই সহজ উপায়ে আপনি এটা করতে পারেন। যে লিংকটি খুলতে চান তার ওপরে কার্সর রেখে মাউসের মাঝখানের বাটনটি চাপুন। দেখবেন নতুন একটি ট্যাবে লিংকটি চালু হয়েছে। আবার চালু হওয়া লিংকটির যেকোনো জায়গায় কার্সর রেখে মাউসের মাঝখানের বাটন চাপলেই সেটা ক্লোজ হয়ে যাবে।
যারা কম্পিউটার ব্যবহার করেন তারা বিভিন্ন সময় ইউটিউব ব্যবহার করে থাকেন। আমরা জানি ইউটিউবে ভিডিও দেখার সময় স্পেস বাটন চাপ দিলে সেটা থেমে যায় বা পজ হয়। তবে সেই ভিডিওতে যদি আগে ক্লিক করা না হয়ে থাকে তাহলে স্পেস বাটন চাপ দিলে ভিডিও থেমে যাওয়ার পরিবর্তে পেজটি নিচে নেমে যায়। এক্ষেত্রে আপনি যদি ক বাটনে চাপ দেন তাহলে তা ইউটিউবের ভিডিও পজ এবং প্লে করতে কাজ করবে। স্পেস বাটনের কোনো প্রয়োজন হবে না সেখানে। এ ছাড়াও ইউটিউবের ভিডিওর ক্ষেত্রে J চাপ দিলে ১০ সেকেন্ড ব্যাকওয়ার্ড হবে এবং L চাপ দিলে ১০ সেকেন্ড ফরওয়ার্ড হবে।
আপনার উইন্ডোকে স্ক্রিনের যেকোনো জায়গায় নিয়ে যেতে চাইলে কি-বোর্ডের উইন্ডোজ বাটনে চাপ দিয়ে ধরে ডান, বাম, ওপর, নিচ যেকোনো একটি তীর চিহ্নে চাপ দিলেই উইন্ডো নির্দিষ্ট জায়গায় চলে যাবে।