নতুন করে আলুর দাম বৃদ্ধিসহ সবজির দাম নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে। গত দু’মাস ধরে এমন পরিস্থিতি সবজির বাজারগুলোতে। আলুর দাম কেজি প্রতি যত বৃদ্ধি পেয়েছে তা পূর্বের যে কোন রেকর্ডকে ছাড়িয়ে গেছে।
কিন্তু কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের হিসাব অনুযায়ী, এ মৌসুমে একজন চাষির প্রতি কেজি আলু উৎপাদনে খরচ হয়েছে ৮ টাকা ৩২ পয়সা। উৎপাদন থেকে শুরু করে অন্যান্য খরচ ধরে এক কেজি আলু হিমাগার পর্যন্ত সংরক্ষণে সর্বমোট ব্যয় হয়েছে ২১ টাকা । সেই সূত্র ধরে হিমাগার পর্যায়ে কেজি ২৩ টাকা, পাইকারি পর্যায়ে ২৫ টাকা এবং খুচরা পর্যায়ে প্রতি কেজি আলু ৩০ টাকা নির্ধারণ করেছে সরকার। সে মোতাবেক বাজার মনিটংরিং করার জন্য প্রতিটি জেলা প্রশাসককে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
গত দু’দিন ধরে দেশের বিভিন্ন জেলায় বেশি দামে আলু বিক্রি করার অপরাধে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে জরিমানা করা হচ্ছে এবং তদারকি করা হচ্ছে। কিন্তু মেহেরপুর জেলা প্রশাসন এখনো কোন পদক্ষেপ নেয়নি। তবে মেহেরপুর প্রতিদিন এর একটি সংবাদে জানা যায়, জেলা প্রশাসক কৃষি বিপণন কর্মকর্তাকে তদারকির দায়িত্ব দিয়েছেন। দায়িত্ব দিয়েই কি এ মনিটরিং কাজ শেষ করবেন।
এদিকে পাইকারি ও খুচরা ব্যবসায়ীরা বলছেন, আলু যে দামে ক্রয় করতে হচ্ছে সেই হিসেবে বেশি দামে বিক্রয় করতে হচ্ছে। সরকারের বেঁধে দেওয়া দামে আলু বিক্রি করতে হলে ব্যবসায়ীদেও লোকসানের মুখে পড়তে হবে। তাছাড়া সরকারের পক্ষ থেকে তেমন কোন নির্দেশনা আমরা এখনো পাইনি।
সবমিলিয়ে বাজার মনিটরিং, বাজার ব্যবস্থাপনা বিষয়গুলোর সাথে সমন্বয়হীনতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এভাবে চলতে থাকলে বাজার নিয়ন্ত্রণ সম্ভব নয়। একই সঙ্গে কৃষকরা সবজি বিক্রি করে যে টাকা পাচ্ছেন তার থেকে একজন ক্রেতা কিনছেন অনেক বেশি দামে। বাজারের কোন দোকানে নির্ধারিত মূল্য তালিকা টাঙানো নাই। বাজার মনিটরিং ব্যবস্থা জোরদার না করলে সাধারণ মানুষ প্রতিনিয়ত ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন। বিষয়টি জেলা প্রশাসক মহোদয় নজরে নিয়ে জরুরি প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন আশা করি।