বিয়ে করা তার নেশা। বিয়ে করে কয়েকমাস রেখে আবারো শুরু করে অন্য নারীর সাথে যোগাযোগ। গোপনে চালায় প্রেমের সম্পর্ক। পরে আগের স্ত্রীকে তালাক দিয়ে আবারো বিয়ে করেন তিনি। এভাবেই বিয়ে করেছেন অন্তত ৪ টি। বিয়ে করে স্ত্রীদের কাছ থেকে যৌতুক আদায় আর ভালোবাসার অভিনয় করে তাদের টাকা আত্মসাৎ করায় তার উদ্দেশ্যে। যৌতুকলোভী প্রতারক আসিফ ইকবাল (২৯)। তিনি সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার রামভদ্রপুর গ্রামের আকরাম আলীর ছেলে। অবশেষে ৩য় স্ত্রীর করা যৌতুক মামলায় বুধবার বিকেলে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।
জানা যায়, আফিস ইকবাল বর্তমানে ঢাকা ব্যাংক’র চট্টগ্রাম শাখায় ট্রেইনি এ্যাসিস্টেন্ট ক্যাশ অফিসার পদে কর্মরত। ২০১৬ সালে এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ করে। পরিবারের পক্ষ থেকে ধর্ষণ মামলা করলে সেই মামলায় কারাগারে যায় আসিফ। পরে ওই মেয়েকে বিয়ে করার পর পরিবার থেকে মামলা তুলে নিলে ছাড়া পায় সেই। কিন্তু বিয়ের কিছুদিন পরই সেই মেয়েকে ডিভোর্স দিয়ে দেয়। এরপর বিভিন্ন নারীদের সাথে আবারো প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে আসিফ। ২০২০ সালে বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া এক ছাত্রীকে বিয়ে করে সে। বিয়ের কিছুদিন পর আবারো নারীদের সাথে সম্পর্কে জড়ায় নারীলোভী আসিফ। ২য় স্ত্রী থাকা অবস্থায় আবারো বিয়ের জন্য উঠেপড়ে লাগে আসিফ।
২০২১ সালের ২৬ জুলাই ২য় স্ত্রী থাকা অবস্থায় বিষয়টি গোপন করে ঝিনাইদহের বনানীপাড়ার ফাতেমাকে বিয়ে করে আসিফ। বিয়ের পর স্ত্রীকে নিয়ে ঝিনাইদহে অবস্থান করে প্রতারক আসিফ। ২য় স্ত্রী থাকা অবস্থায় আবারো বিয়ের বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর ২য় স্ত্রীকে ডিভোর্স দেয় সে। ফাতেমাকে বিয়ের কিছুদিন পর আবারো পরকীয়ায় আসক্ত হয়ে পড়ে। সর্বশেষ তার কাছ থেকে যৌতুক দাবী করা শুরু করে। যৌতুক না দিলে শারিরীক ও মানসিক নির্যাতন শুরু করে নারীলোভী আসিফ। যৌতুক না পেয়ে ফেব্রুয়ারি মাসে ফাতেমাকে ডিভোর্স দিয়ে দেয়। পরে আবারো উম্মে হাবীবা প্রান্তি নামে এক মেয়েকে বিয়ে করে।
৩য় স্ত্রী ফাতেমা বলেন, আসিফ একজন নারীলোভী, প্রতারক ও যৌতুক লোভী। ২য় স্ত্রী থাকা অবস্থায় আমাকে বিয়ে করে। আমার পর আরও এক মেয়েকে বিয়ে করেছে। তার নেশায় যেন বিয়ে করা। এমনকি ৪র্থ বিয়ে করা অবস্থায় ফেসবুকে এক মেয়ের সাথে পরিচয় হয়েছে তাকেও বিয়ে করার কথা বলেছে। আমার কাছ থেকে যৌতুক না পেয়ে আমাকে ডিভোর্স দিয়েছে। আমি মামলা করেছি সেই মামলায় আদালতের বিচারক তাকে কারাগারে পাঠিয়েছে। আমি ওর দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি চাই। আর যেন কোন নারীর জীবন সে নষ্ট করতে না পারে সে জন্য আমি ওর উপযুক্ত বিচার চাই।