ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার মিঞা জিন্নাহ আলম ডিগ্রি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ তরিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে আসছে নানা অনিয়মের অভিযোগ। নিয়োগ বাণিজ্য করে তিনি গড়েছেন অঢেল সম্পদের পাহাড়। ১৯৯৪ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় কলেজটি। নানা অনিয়ম ও স্বেচ্ছাচারিতার জন্য আলোচিত এই অধ্যক্ষ চাকরি থেকে অবসরে যাওয়ার সময় পড়েছেন গ্যাড়াকলে।
নিয়োগ জালিয়াতি করে একই পদে দুইজন শিক্ষক নিয়োগ, ডিগ্রি থেকে উচ্চমাধ্যমিক শাখায় ও উচ্চ মাধ্যমিক থেকে ডিগ্রি শাখায় স্থানান্তর করেও কামিয়েছেন কাড়ি কাড়ি টাকা। ২০১৩ সালে এই প্রতিষ্ঠানে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি হিসেবে দায়িত্বপান উমেদপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাব্দার হোসেন মোল্লা। ডিগ্রি কলেজের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি হতে হলে ন্যূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতা স্নাতক হলেও অপ্রাতিষ্ঠানিক স্বশিক্ষিত সাব্দার হোসেন মোল্লাকে ডিগ্রি পাস দেখিয়ে শিক্ষাবোর্ডে সুপারিশ পাঠিয়েছেন। একই সাথে বিদ্যুৎসাহী পদে মোস্তাফিজুর রহমানকে মনোনীত করে সুপারিশ পাঠান। খোঁজ নিয়ে জানাগেছে, মোস্তাফিজুর রহমানেরও শিক্ষাগত যোগ্যতা ছিলনা বিদ্যুসাহী সদস্য হওয়ার।
২০১৩ সালের ২২ আগস্ট এই দুইজনের পক্ষে ডিও লেটার দেন তৎকালীন এমপি আব্দুল হাই। আদতে সাব্দার হোসেন মোল্লার প্রাতিষ্ঠানিক কোন শিক্ষাগত যোগ্যতা নেই বলে জানাগেছে। কাজেই শিক্ষানীতিমালা অনুযায়ী তিনি কোন ডিগ্রি কলেজের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি হতে পারেন না। অথচ এই কমিটি দিয়ে ২০১৫ সালের জুন মাসে জালিয়াতির মাধ্যমে ৭টি পদে শিক্ষক নিয়োগ দিয়ে হাতিয়েছেন প্রায় কোটি টাকা। খোঁজ নিয়ে জানাগেছে, সাব্দার হোসেন মোল্লা গাড়াগঞ্জ গার্লস স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ছিলেন সেখানে তার শিক্ষাগত যোগ্যতা দেখান এসএসসি পাস।
অযোগ্য ব্যক্তিকে সভাপতি নিয়োগ দিয়ে কোটি কোটি টাকার নিয়োগ বাণিজ্য নিয়ে সম্প্রতি প্রশ্ন তুলেছেন এলাকার লোকজন। তারা এই কমিটির নিয়োগ দেওয়া শিক্ষক ও অন্যান্য কর্মচারীদের অবৈধ বলে দাবি করেন। তারা বলেন, এসব নিয়োগ বাতিল করে পূণরায় স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় নিয়োগ দিতে হবে। এবিষয়ে জানতে সাবেক অধ্যক্ষ তরিকুল ইসলামের মোবাইলে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি। জানাগেছে, দুর্নীতির মাধ্যমে তিনি হরিণাকুণ্ডু উপজেলার বিভিন্ন জায়গাসহ কুষ্টিয়া শহরে নামে বেনামে বিপুল সম্পত্তি গড়ে তুলেছেন।