আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঝিনাইদহের ৪টি আসনে প্রতীক বরাদ্দ সম্পন্ন করা হয়েছে। প্রতীক বরাদ্দ পেয়েই প্রচারণায় নেমে পড়েছে প্রার্থী ও তার সমর্থকরা।
আজ সোমবার জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা এসএম রফিকুল ইসলাম প্রার্থীদের উপস্থিতিতে এ প্রতীক বরাদ্দের কাজ সম্পন্ন করেন এবং নির্বাচনী বিধি মেনে চলার জন্য প্রার্থীদের বিভিন্ন রকম নির্দেশনা দেন। তবে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর মুল প্রতিন্দন্দ্বীতায় থাকছেন আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। বিএনপি-জামায়াতের কোন সতন্ত্র প্রার্থী না থাকায় আওয়ামী লীগের প্রার্থীরায় স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে মাঠে থাকছেন। প্রতিটি আসনের অন্য দলের প্রার্থীরা থাকলেও নির্বাচনী মাঠে তাদের তেমন কোন তৎপরতা নেই। ফলে তাদের জয়ী হওয়ার সম্ভবনাও নেই।
ঝিনাইদহ-১ আসনঃ প্রতিন্দন্দ্বীতায় নেমেছেন ৬জন প্রার্থী। এদের মধ্যে মুল প্রতিন্দন্দ্বীতায় থাকছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত ও বর্তমান সংসদ সদস্য আব্দুল হাই (নৌকা) এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি নজরুল ইসলাম দুলাল (ট্রাক প্রতীক)। এই আসনে অন্য প্রার্থীরা হলেন জাতীয় পার্টির মনিকা আলম (লাঙ্গল প্রতীক), ন্যাশনাল পিপলস পার্টির আনিচুর রহমান(আম প্রতীক),তৃণমূল বিএনপির কে.এ জাহাঙ্গীর মাজমাদার (সোনালী আাঁশ প্রতীক) ও স্বতন্ত্র প্রার্থী মুনিয়া আফরিন (ফুলকপি প্রতীক)।
ঝিনাইদহ-২ আসনঃ প্রতিন্দন্দ্বীতায় নেমেছেন ১১জন প্রার্থী। এদের মধ্যে মুল প্রতিন্দন্দ্বীতায় থাকছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ও বর্তমান সংসদ সদস্য তাহ্জীব আলম সিদ্দিকী সমি (নৌকা),স্বতন্ত্র প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি নাসের শাহরিয়ার জাহেদী মহুল (ঈগল প্রতীক)। এই আসনে অন্য প্রার্থীরা হলেন জাতীয় পার্টির প্রার্থী মেজর (অবঃ) মাহফুজুর রহমান (লাঙ্গল), ন্যাপের প্রার্থী অধ্যক্ষ খোন্দকার হাফিজ ফারুক (কুঁড়েঘর) জাসদের ফজলুল কবির (মশাল),তৃনমুল বিএনপির জামরুল ইসলাম (সোনালী আাঁশ), ন্যাশনাল পিপলস পার্টির মিজানুর রহমান মিজু (আম), বাংলাদেশ কল্যান পার্টির আব্দুল হান্নান খাঁ (হাতঘড়ি) ও বাংলাদেশ কংগ্রেস নাসির উদ্দিন (ডাব), বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোটের শরীফ মোহাম্মদ বদরুল হায়দার(ছড়ি প্রতীক), বাংলাদেশ সুপ্রিম পাটি (বিএসপি) নজরুল ইসলাম (একতারা প্রতীক)।
ঝিনাইদহ-৩ আসনঃ প্রতিন্দন্দ্বীতায় নেমেছেন ৪জন প্রার্থী। এই আসনের অন্য আসনেগুলোর থেকে ভিন্ন। মুল প্রতিন্দন্দ্বীতায় থাকছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মেজর জেনারেল (অবঃ) সালাউদ্দিন মিয়াজী, স্বতন্ত্র প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি শফিকুল আজম খাঁন চঞ্চল (ট্রাক প্রতীক) এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী ও কেন্দ্রীয় যুবলীগের প্রেসিডিয়াম মেম্বার নবী নেওয়াজ (ঈগল প্রতীক)। এই আসনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী আব্দুর রহমান (লাঙ্গল প্রতীক)।
ঝিনাইদহ-৪ আসনঃ প্রতিন্দন্দ্বীতায় নেমেছেন ৫জন প্রার্থী। এদের মধ্যে মুল প্রতিন্দন্দ্বীতায় থাকছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত বর্তমান সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার (নৌকা),স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুর রশিদ খোকন (ট্রাক)। এই আসনে অন্য প্রার্থীরা হলেন স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম ছানা (ঈগল), জাতীয় পার্টির ইমদাদুল ইসলাম বাচ্চু (লাঙ্গল) ও তৃনমুল বিএনপির সাবেক এমপি নুর উদ্দিন আহমেদ (সোনালী আঁশ প্রতীক)।
উল্লেখ্য: ঝিনাইদহের ৪টি আসনে বৈধ ২৯জনের প্রার্থীর মধ্যে ৩জন প্রার্থী তাদের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে। তারা হলেন-ঝিনাইদহ-২ আসনের জেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক স্বতন্ত্র প্রার্থী সাইদুল করিম মিন্টু। ঝিানইদহ-৩ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী আনিছুর রহমান টিপু,জাকের পার্টির বাবুল হোসেন। ঝিনাইদহের ৪টি আসনে নির্বাচনে প্রতিন্দ্বন্দীতা করার জন্য ২৬ জন প্রার্থী নির্বাচনী মাঠে রয়েছে।