ঝিনাইদহে কোটি টাকার লোকসানে দুই সমিতির জেলেরা

ঝিনাইদহে কোটি টাকার লোকসানে দুই সমিতির জেলেরা

হাইকোর্টের নির্দেশে নবগঙ্গা নদীর বাঁধ অপসারণ করছে প্রশাসন। কিন্তু নিরিহ ইজারাদারদের কি হবে সে কথা ভাবেনী নদী কর্তৃপক্ষ। আর তাইতো কয়েক কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন হয়ে পথে বসতে যাচ্ছে জেলেরা।

চাঁদপুর বাওড়, পৌলানপুর রুপদহ শাপলা সমিতির সভাপতি আব্দুল আলিম বলেন, আমরা সরকারের সকল প্রকার নিয়ম নীতি মেনে ১৬-০২-২০২২ ইং তারিখে ( ৩ ফালগুন, ১৪২৮ বাংলা) ঝিনাইদহ জলমহলটির ইজারা চুক্তি সম্পাদন করেন, ১৪২৮-১৪৩০ সন পর্যন্ত ০৩(তিন) বছর মেয়াদে বার্ষিক ৬,৬০,০০০( ছয় লক্ষ ষাট হাজার) টাকা ইজারা মূল্যে দিয়ে বাড়ও ইজারা নিয়ে কোটি কোটি ব্যয় করে মাছ দিয়েছি আর কিছুদিন পরই মাছ ধরা হবে।

কিন্তু আমাদের কোন প্রকার নোটিশ অথবা না জানিয়ে রাতের আধারে বাঁওড়ের বাঁধ কেটে দিয়েছে জেলা প্রশাসন। হরিণাকুন্ডু সহকারী ভূমি কর্মকর্তা সরেজমিনে থেকে বাঁধ অপসারণ করেছেনে। এসময় আমরা জানতে চাইলে তিনি বলেন, হাইকোর্টের নির্দেশেই বাঁধ অপসারণ করা হচ্ছে। আমরা হাইকোর্টের নির্দেশানা দেখতে চাইলে তিনি কোন কাগজ পত্র দেখাতে পারেননি।

এছাড়াও স্থানীয়দের নিকটও চড়াদরে মাটি বিক্রিয় করেছেন তিনি। এব্যাপারে স্থানীয়দের নিকট জানতে চাইলে তাঁরা বলেন, আমরা এমনি এমনি মাটি নেয়নি ৯’শত থেকে ১ হাজার ১২ শত টাকা দিয়ে মাটি ক্রয় করেছি।

সমিতির সভাপতি আরো বলেন, সরকারের বেঁধে দেওয়া সময় অনুয়ায়ী আমাদের হাতে আরো ২ মাস সময় রয়েছে। কিন্তু সময়ের আগে কোন কিছু না জানিয়ে বাঁধ অপসারণ করে আমাদের পথে বসিয়েছেন প্রশাসন। হঠাৎ বাঁধ কেটে দেওয়ায় এক দিকে যেমন কোটি কোটি টাকার মাছ উন্মুক্ত হয়েছে। অন্যদিকে এলাকার শতশত মানুষ মাছ ধরে নিয়েছেন।

অন্যদিকে হিজলি কাপাশহাটিয়া ঘোরদহ মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি লিমিটেড এর সভাপতি ইন্দ্রজিত হালদার এলাকার দূস্থ জেলেদের নিয়ে সরকারের সকল প্রকারের নিয়ম নীতি মেনে ১৪,১৫,০০০ চৌদ্দ লক্ষ পনের হাজার টাকা ব্যাংক চালান ফরম টি,আর ফরম নং ( এস,আর,৩৭ দ্রষ্টব্য) টাকা দিয়ে বাওড় ইজারা নিয়েছেন। যা বুঝে পাওয়ার আগেই হঠাৎ করেই বাওড়ের বাঁধ কেটে দেওয়ায় সমিতির সদস্যদের মধ্যে হতাশা তৈরি হয়েছে।

চলতি সমিতির মেয়াদ শেষ হতে ২ মাস বাকি নতুন সমিতি বুঝে পাওয়া আগে বাঁধ অপসারণে ক্ষতির সম্মুখিন হচ্ছে জেলেরা আর তাইতো জেলেদের কথা ভেবে নিশ্চয়ই সুবিচার করবেন প্রশাসন এমনটাই দাবি ক্ষতিগ্রস্থ দুই সমিতির জেলেদের।

এ ব্যাপারে হরিণাকুন্ডু উপজেলা সহকারী কমিশন (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট নিরুপমা রায় বলেন, আমি কিছুই বলতে পারবো না, আপনি ডিসি স্যারের সাথে কথা বলেন।