ঝিনাইদহ সদর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে আন্তঃজেলা ডাকাত সর্দারসহ ৬ ডাকাতকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ সময় তাদের স্বীকারোক্তি মোতাবেক লুন্ঠিত মালামাল উদ্ধার করা হয়েছে।
আটককৃত ডাকাতরা হচ্ছে জেলার কোটচাঁদপুর উপজেলার রুদ্রপুর গ্রামের ফেলু মন্ডলের জামাতা সজিব (৩০), হরিনাকুণ্ডু উপজেলার পদ্মনগর গ্রামের আরিফুল ইসলামের ছেলে বাবুল হোসেন (২৩), সদর উপজেলার দক্ষিণ রামনগর গ্রামের আতিয়ার বিশ্বাসের ছেলে লিটন (৩৮), সদর উপজেলার বেড়াশুলা গ্রামের সায়েম মন্ডলের ছেলে তরিকুল ইসলাম (৩০), চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার বেলগাছি গ্রামের মৃত রমজান মালিথার ছেলে তোরাপ (৫২) এবং সদর উপজেলার মহামায়া গ্রামের আজিবার রহমানের ছেলে ডাকাত সর্দ্দার কোরবান আলী (৪০)।
ঝিনাইদহ সদর থানার ওসি মিজানুর রহমান জানান, তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে গত রোববার থেকে মঙ্গলবার পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে সর্দ্দারসহ ৬ ডাকাতকে গ্রেফতার করা হয়।
পুলিশ জানায়, ঝিনাইদহ সদর উপজেলার মধুহাটি ইউনিয়নের দক্ষিণ রামনগর গ্রামে গত ৪ ডিসেম্বর রাতে প্রবাসী সাইদ হোসেনের বাড়িতে ডাকাতি হয়। ডাকাতদল বাড়ির সদস্যদের অস্ত্রেও মুখে জিম্মি করে ৭ টি মোবাইল ফোন, স্বর্ণের তৈরি হাতের বালা, গলার চেইন, কানের দুল, আংটিসহ নগদ কিছু টাকা লুন্ঠন করে। এ ঘটনায় পরদিন ৫ ডিসেম্বর সাইদ হোসেনের স্ত্রী শাম্মী আক্তার বাদি হয়ে সদর থানায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে একটি মামলা করেন।
একপর্যায়ে তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে ডাকাতদের সনাক্ত করতে সক্ষম হয় পুলিশ। প্রথমেই ডাকাত সর্দ্দার কোরবান আলীকে পুলিশ আটক করে। তার স্বীকারোক্তি মোতাবেক পর্যায়ক্রমে ৬ ডাকাতকে আটক করতে সক্ষম হয় তারা। পরে তাদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী লুন্ঠিত হওয়া সকল মালামাল উদ্ধার করা হয়। গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে ঝিনাইদহ সদর থানাসহ বিভিন্ন থানায় ডাকাতিসহ ৬টি মামলা রয়েছে।
ডাকাত সর্দ্দার কোরবান আলী ৮ বছরের সাজাপ্রাপ্ত আসামি হিসেবে ফেরারি ছিল।
পুলিশের সূত্রগুলো জানায়, এ সব ডাকাত সদস্যরা বিভিন্ন এলাকায় রাজমিস্ত্রীর ছদ্মবেশে মানুষের বাড়িতে কাজ করতে গিয়ে খোজ-খবর নিয়ে রাতেরবেলা ডাকাতি করতো।