ঝিনাইদহ শহরের উপশহর পাড়ার দুধর্ষ চুরি হয়েছে। চোরেরা ব্র্যাকের কর্মকর্তা শফিকুর রহমানের বাসার গ্রিল কেটে নগদ দেড় লাখ টাকা ও সাত ভরি সোনার গহনা নিয়ে গেছে। এ সময় তিনি গ্রামের বাড়িতে ছিলেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
জানা গেছে, সাতদিনের লকডাউনে গ্রামের বাড়ি সদর উপজেলার রাজাপুর গ্রামে বেড়াতে যান শফিকুর। শহরের বাড়ি তালাবদ্ধ ছিল। শনিবার বাসায় ফিরে দেখতে পান ঘরের আসবারপত্র এলোমেলো। ঘরের আলমিরা ভাঙ্গা। খোজ নিয়ে জানতে পারেন তার সব কিছু নিয়ে গেছে।
এর আগে ঝিনাইদহ চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতের কর্মচারী মেহেদী লাভলুর বাড়িতে চুরি হলে তিনি চোর সনাক্ত করে সব কিছুই ফিরে পান। গ্রেফতর হয় চোরসহ ৭ জন।
এদিকে ঝিনাইদহ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আবুল বাশার, সদর থানা ওসি মিজানুর রহমান, ওসি তদন্ত এমদাদুল হক খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
তারা জানান, পার্শ্ববর্তী বাড়ির সিসিটিভির ফুটেজ দেখে চোর সনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা হবে। উল্লেখ্য শহরের আরাপপুর বাসস্ট্যান্ডের পাশে সার্থক গ্যাসঘর ও পাগলাকানাই মডেলদের বাসাবাড়িতেও চুরি সংঘটিত হয়েছে।
সাধুহাটী ইউনিয়নের বারোমাইল এলাকায় জনৈক শাহাদতের কাঠের আড়তেও চুরি হয়। করোনাকালে লকডাউন ও জনমানবহীন পাড়া মহল্লায় চোরের উপদ্রপ বৃদ্ধি পেয়েছে বলে এলাকাবাসি জানায়।