ঝিনাইদহে নিম্নমানের ইট দিয়ে পৌরসভার সড়ক সংস্কারের অভিযোগ উঠেছে পৌর কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। শুক্রবার সকালে শহরের উজির আলী স্কুলের পাশের সড়ক সংস্কার শুরু করে পৌর কর্তৃপক্ষ। এসময় স্থানীয়দের বাঁধার মুখে সেখান থেকে সটকে পড়ে প্রকৌশলীসহ সংস্কারে নিয়োজিতরা।
স্থানীয়রা জানায়, পৌরসভার উজির আলী স্কুল থেকে কলাবাগান পর্যন্ত সড়কটি দীর্ঘদিন ধরে একজন ঠিকাদার কাজ না করে ফেলে রেখে গেছে। সড়কটির কারনে ভোগান্তীতে পড়তে হচ্ছে স্থানীয় বাসিন্দাদের।
কয়েকদিন আগে এলাকার বাসিন্দারা সড়কটি সংস্কারের জন্য পৌরসভায় স্মারকলিপি দেয়। সেসময় পৌরসভা কর্তৃপক্ষ সড়কে ভোগান্তী কমাতে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেয়।
শুক্রবার সকালে ছুটির দিনে ওই সড়কের ৫০০ মিটার কাজ শুরু করে পৌরসভা কর্তৃপক্ষ। নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় পৌরসভার প্রকৌশলী আক্তারুজ্জামান কাজল ও একজন উপ-সহকারী প্রকৌশলী সেখানে দাড়িয়ে কাজ তদারকি করছিলেন।
কাজ শুরু থেকে নিম্ন মানের ইট দিয়ে কাজ করাচ্ছিলেন তারা। স্থানীয়দের ভাষায় পোড়ামাটি বা রাবিশ দিয়ে কাজ করাচ্ছিলেন তারা। বিষয়টি টের পেয়ে স্থানীয়রা সেই কাজে বাঁধা দেয়। খবর পেয়ে গণমাধ্যম কর্মীরা সেখানে গেলে কৌশলে সেখান থেকে সটকে পড়ে প্রকৌশলী।
কলাবাগান এলাকার বাসিন্দা লিটু বলেন, দীর্ঘদিন ধরে এই রাস্তা খারাপ ছিল। একুন আবার কাজ শুরু হচ্ছে। একেবারেই নিম্ন মানের ইট দিয়ে কাজ করছে। এইডা তো ইটই বলা চলে না। পোড়ামাটি দিয়ে কাজ করাচ্ছে।
মুরাদ হোসেন নামের এক বাসিন্দা বলেন, যে মাটি দিচেছ তার থেকে এটেল মাটি দিয়ে কাজ করালে ভালো হতো। পৌরসভার টাকা নেই ভালো কথা। এখন যা ইট দিচ্ছে তা দিয়ে কাজ করে টাকা নষ্ট করার কি দরকার। পৌরসভার কর্মকর্তারা টাকা আত্মসাৎ করার জন্য আমা ইট দিয়ে কাজ করাচ্ছে।
এ ব্যাপারে নির্বাহী প্রকৌশলী কামাল উদ্দিন বলেন, ১ নম্বর ইট দেওয়ার কথা। কিন্তু সেখানে একটু সমস্যা হয়েছে বলে কাজ আপাতত বন্ধ রেখেছি। আগামীতে ভালোমানের খোয়া দিয়ে কাজ করা হবে।