ঝিনাইদহে প্রেমিকের মৃত্যু সইতে না পেরে আত্মহত্যা করে জীবন দিল প্রেমিকা মিনা (১৯)। ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার ভোরে সদর উপজেলার কাতলামারী বাজারে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত মঙ্গলবার কাতলামারী বাজারের প্রসাধনী ব্যবসায়ী প্রেমিক সুমন কুমারের মৃত্যুর পর থেকেই রাজনগর গ্রামের মকবুল হোসেনের কলেজ পড়ুয়া মেয়ে মানষিক ভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ে এবং মানুষের কাছে সুমন হত্যার প্রকৃত ঘটনা বলতে গেলে তার বাবা মা বাধা দেয় এতে সে আরও বেশি ক্ষুব্ধ হয়ে পড়ে।
তাছাড়া দুইদিন যাবৎ পানাহার বন্ধ করে অসুস্থ হয়ে পড়ে তাতে তার বাবা মা তার উপর আরও চড়াও হয় এবং মেয়েকে মারধর করে ঘরে আটকে রাখে। বৃহস্পতিবার রাতের কোন এক সময়ে প্রেমিকা মিনা আক্তার নিজ ঘরে গলাই ফাঁসদিয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে জানা গেছে।
উল্লেখ যে, গত মঙ্গলবার ভোর রাতে কাতলামারী বাজারের পাশের একটি আম বাগান থেকে সুমন কুমার (২৫) নামের যুবকের লাশ উদ্ধার করে হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। স্বজনদের অভিযোগ সুমনকে কৌশলে হত্যা করা হয়েছে। কাতলামারী বাজারে হিন্দুধর্মাবলম্বী সুমন কুমার প্রসাধনীর ব্যবসা করতেন। এঅবস্থায় এক মুসলিম মেয়ের সাথে প্রেমের সর্ম্পকে জড়িয়ে পড়ে। এঘটনায় মেয়ের পরিবার ক্ষুব্ধ হয়ে সুমনকে হত্যা করা হতে পারে বলে এলাকবাসী ধারণা করছেন। পাশাপাশি ঘটনাটি সুষ্ঠু তদন্তের দাবি জানিয়েছেন তারা।
এলাকাবাসী আরও জানান মিনা আক্তার ও তার মা সুমাইয়া হিন্দু পরিবারের সন্তান, তার পূর্বের নাম ছিল অন্না বা অনন্যা বিয়ে হয়েছিল চুয়াডাঙ্গা জেলার শুম্ভু নগর গ্রামে জীবন পালের সাথে পরবর্তিতে তাকে ছেড়ে মেয়ে মিনাকে সাথে নিয়ে মকবুল হোসেন কে বিয়ে করে ইসলাম ধর্ম গ্রহন করে। মিনা মূলত জীবন পালের ওরোশজাত সন্তান। মিনার নানি নানা সবাই হিন্দুধর্মাবলম্বী ছিল।
এবিষয়ে কাতলামারী পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এস আই আনিচুর রহমান জানান, মিনা আক্তারের সাথে সুমন কুমারের গভীর প্রেমের সম্পর্ক ছিল। কিন্তু পারিবারিক ভাবে এই সম্পর্ক মেনে না নেওয়ায় মঙ্গলবার সুমনের আত্মহত্যা করে মৃত্যুর পর বৃহস্পতিবার রাতে মিনা গলাই ফাঁসদিয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। লাশটি ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে।
ঝিনাইদহ সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মিজানুর রহমান জানান, ময়নাতদন্ত শেষে হত্যা প্রমানিত হলে প্রকৃত অপরাধিদের আইনের আওতায় আনা হবে।