ঝিনাইদহ সদর উপজেলার হলিধানী গ্রামে ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের সৃষ্টি হয় এতে উভয় পক্ষের কমপক্ষে ৭ জন আহত হয়েছে। এ বিষয়ে সদর থানায় পৃথক দুটি মামলা হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানাগেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীদের কাছ থেকে জানাযায়, গত ১জুলাই হলিধানী পূর্বপাড়ার একদল যুবক দুই গ্রুপে ভাগ হয়ে ফুটবল খেলার আয়োজন করে। খেলা শেষে পরাজিত দল বিজয়ী দলকে মিষ্টি খাওয়ানো বাবদ কিছু টাকা দেওয়ার কথা থাকলেও তা নাদিলে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়।
সংঘর্ষে হলিধানী গ্রামের রহিম বাদশার ছেলে রকিব, আব্দুস সাত্তার সিডনের ছেলে সোহাগ, আল আমিন, মোসলেমের ছেলে দেলয়ার ও নাসির উদ্দীন, ইলিয়াস, সাগর, জোয়াদ আলী ও হৃদয়সহ আরও বেশ কয়েক জন মিলে বীর মুক্তিযোদ্ধা নুর ইসলামের ছেলে সোহেল, বাহার আলীর ছেলে সজল, মৃত আব্দুল মজিদের ছেলে শাহা আলম, সাইদুল ইসলামের স্ত্রী জরিনা খাতুন ও শফি উদ্দীনের ছেলে সুমন মিয়াকে পিটিয়ে জখম করে। তাছাড়া অপর পক্ষের আল আমিন আহত হয়। সবাইকে ঝিনাইদহ সদর হাসপতালে ভর্তি করা হয় এবং ওই দিন রাতেই ঝিনাইদহ সদর থানায় পৃথক দুটি মামলা হয়েছে।
এই বিষয়ে আহত সোহেল বলেন খেলা নিয়ে কথা কাটাকাটি শুরু হলেও তা শান্ত হয়ে যাওয়ার পরে সন্ধ্যার দিকে তাদের বাড়ির পাশে গেলে রাকিব ও সোহাগ দলবল নিয়ে আমার উপর হামলা চালায়। আরও আমাকে বাঁচাতে এলে আহত অন্যদের কেউ সন্ত্রাসীরা মারধর করে আহত করে। আহত জরিনা খাতুন বলেন সোহেলের উপর হামলা করলে তার চিৎকারে আমরা দড়িয়ে গেলে আমাদের পিটিয়ে ও দা দিয়ে কুপিয়ে আহত করে। আমরা এই সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের বিচার চাই।
এছাড়া আহত সকলেই এই হামলাকারী মাদক ব্যবসায়ী রাকিব, সোহাগ, আল আমিন ও হৃদয়দের সাথে জড়িত সকলের উপযুক্ত বিচার চাই।
অপর পক্ষের আহত আল আমিন বলেন খেলা শেষে মিষ্টি খাওয়ানোর প্রতিশ্রুতি ছিল আমরা সন্ধ্যায় দেব বলে জানালেও তারা তা মেনে না নিয়ে আমাদের বল আটকে দেয় তখন উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের সূত্রপাত হলে আমাদের উপর হামল চালালে আমিসহ আরও বেশ কয়েক জন আহত হয়েছে। তিনি আরও বলেন এটাকোন পরিকল্পিত হামলা বা সংঘাত ছিল না। আমরা বিষয়টির সমাধান চাই।
মামলার বাদী বাহার আলী বলেন আসামীরা অর্থবিত্তশালী, মাদক ব্যবসায়ী ও সন্ত্রাসী তারা পূর্বপরিকল্পিত ভাবে আমাদের ছেলেদের উপর হামলা করেছে আমি এর বিচার চেয়ে থানায় মামলা করেছি। এই মামলার পর থেকেই টাকা দিয়ে সন্ত্রাসী ভাড়া করে আমার ছেলেকে পিটিয়ে আহত করার পরিকল্পনা করছে। হত্যা পরিকল্পনার অডিও রেকর্ড ফাস হয়েছে বলেও তিনি জানান।
এবিষয়ে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ঝিনাইদহ থানার এস আই শফিকুল ইসলাম বলেন এই ঘটনায় উভয় পক্ষের দুইটি অভিযোগ পেয়েছি, অভিযোগ দুটি তদন্তনাধীন রয়েছে।