ঝিনাইদহ সদর উপজেলার ফুরসন্দি ইউনিয়নের জিথর ভবানীপুর গ্রামে রাস্তা নির্মাণ নিয়ে কাঁদা ছোড়াছুড়ি শুরু হয়েছে। গ্রামের কথিত একটি অংশ সরকারের উন্নয়নমূলক কাজকে বাঁধাগ্রস্থ করতে উঠে পড়ে লেগেছে অভিযোগ গ্রামবাসীর। আজ তারাই জিথর ভবানীপুর গ্রামের এই রাস্তা নির্মাণকে কেন্দ্র করে কাঁদা ছোড়াছুড়ি করছে। সম্প্রতি সামাজিক মাধ্যমসহ নাম সর্বত্র কিছু অনলাইন পোর্টালে এ নিয়ে সংবাদ প্রচার করেছে। এ
ই সংবাদের সূত্র ধরে,সোমবার সরেজমিনে জিথর ভবানীপুর গ্রামে যাদের জমির উপর দিয়ে রাস্তা নির্মাণ করা হয়েছে,গ্রামবাসী,স্থানীয় মাতব্বরের সাথে কথা বলে জানা যায়, ৫০বছরের অধিক সময় ধরে এই গ্রামটি অবহেলিত। কাঁদা পানি হলে এ রাস্তা দিয়ে চলাচল করা যেত না। গ্রামবাসীর দীর্ঘদিনের দাবির জন্য চেয়ারম্যান গ্রামের মানুষকে এক সাথে নিয়ে সরকারি আমিন দিয়ে মাপ যোগ করে সর্বসাধারণের সম্মতিক্রমে রাস্তাটি নির্মাণ করেন। এদিকে যাকে মারধর করে জোর করে উঠানের মাঝ দিয়ে রাস্তা নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে,সেই মনতোষ মন্ডল বলেন,এখানে মারধর বা জোর করার কোন ঘটনা ঘটেনি।
যারা নিউজ করেছে তাদের সাথে আমার দেখা বা কোন কথাও হয়নি। বরং রাস্তা নির্মাণ করায় আমার জন্য ভালো হয়েছে। আগে বাড়িতে সাইকেল,ভ্যান নিয়ে আসতে পারতাম না। এখন সহজেই আসতে পারছি। রাস্তা নির্মাণ কাজে জমি দেওয়া প্রশান্ত বিশ্বাস, তরুণ কুমার লস্কর ও অনন্ত বসু বলেন,আমাদের দীর্ঘদিনের দাবির জন্য চেয়ারম্যান সকলের মতামতের ভিত্তিতে রাস্তাটি নির্মাণ করেন। আগে আমাদের চলাচলে অনেক অসুবিধা হতো। জিথর ভবানীপুর গ্রামের গ্রাম্য মাতব্বর সুনিতি বিশ্বাস তিনিও এই রাস্তা নির্মাণের বিষয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন।
রাস্তা নির্মাণের সার্বিক বিষয় জানতে চাইলে,ফুরসন্দি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান এ্যাড.আব্দুল মালেক জানান,জিথর ভবানীপুর গ্রামেই আমার বাড়ি। এই গ্রামটি দীর্ঘদিন ধরে অবহেলিত ও নানা সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত। গ্রামবাসীর দাবির পরিপ্রেক্ষিতে সকলকে এক সাথে নিয়ে এমন কি সরকারি আমিন দিয়ে মাপ যোগ করে পিআইও অফিসের ইঞ্জিনিয়ার এনে ইউনিয়ন পরিষদ ম্যানুয়াল অনুযায়ী ফ্ল্যাট সলিংয়ের এ রাস্তা করা হয়েছে।
যারা এখন এ রাস্তা নির্মাণের বিরোধিতা করছে,তারা উন্নয়ন চাই না এবং রাস্তা নিয়ে যে সকল অভিযোগ করা হচ্ছে তা মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।যারা এই উন্নয়নমূলক কাজে বিভ্রান্তিমুলক প্রচার-প্রচারণা চালাচ্ছে আসলে তারা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্ন গ্রামকে শহরে রুপান্তরিত করার কাজে বিঘ্ন সৃষ্টিকারী। তাই এদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য প্রশাসনের সদয় দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন সুবিধাভোগী গ্রামবাসী।