ঝিনাইদহের মহেশপুরে চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলার ৩ পলাতক আসামিকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৬। গতকাল সোমবার রাত ১টার দিকে র্যাব-৬ (ঝিনাইদহ ক্যাম্প) এর একটি চৌকস আভিযানিক দল গোপন সংবাদের মাধ্যমে সংবাদ পেয়ে মহেশপুর থানার হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত ৩ পলাতক আসাম কে উপজেলার ভালাইপুর এলাকা থেকে গ্রেফতার করেছে।
গ্রেফতারকৃত হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত ৩ পলাতক আসামীরা হলেন একই উপজেলার ভালাইপুর গ্রামের মাহাতাব বিশ্বাসের জেন্টু (৫০), কেসমত খাঁর ছেলে আবদার (৫২), এবং মৃত ইদবার খার ছেলে আলী হোসেন (৫৪)।
উল্লেখ, গত ১২ সেপ্টেম্বর রাতে মহেশপুর থানাধীন ১নং এসবিকে ইউনিয়নের ভালাইপুর গ্রামের তৌহিদুল ইসলাম এর বাড়িতে অজ্ঞাতনামা কয়েকজন চোর গরু চুরির উদ্দেশ্যে গিয়ে তৌহিদুল ইসলামকে আহত করে পালিয়ে যায়। এছাড়া একই রাতে তার প্রতিবেশী সুমন খান এর বাড়ি হতে দুইটি গরু চুরি হয়।
উক্ত চুরির ঘটনাকে কেন্দ্র করে আসামিরা হত্যা মামলার বাদীর স্বামী, মিঠু শেখ ছেলে রাশেদ শেখ (৩৮), ও ভিকটিমের চাচা মোঃ বজলুর রহমান এবং ভিকটিমের ছোট ভাই মোঃ রাজদুল ইসলাম শেখ দেরকে চোর সাব্যস্ত করে খুজতে থাকে। উক্ত তারিখ সকালে ভিকটিম বাড়ি হতে মটর সাইকেল যোগে খালিশপুর বাজারে যাওয়ার সময় মহেশপুর থানাধীন এসবিকে ইউনিয়নে ভালাইপুর গ্রামের রাহাতুল্লাহ সরদার মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সামনে ইটের সলিং রাস্তার উপর পৌঁছা মাত্রই আসামীগন একত্রিত হয়ে ভিকটিমের গাড়ি থামিয়ে মারার চেষ্টা করলে ভিকটিম ভয়ে দৌড়ে ভালাইপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে গেলে আসামীরা সেখানে গিয়ে ভিকটিমকে হত্যার উদ্দেশ্যে এলোপাতাড়ি ঘুষি, লাথি ও লাঠি দিয়ে মারতে থাকে। ভিকটিমের বাড়িতে হামলা ও ভাংচুর করে এবং বাড়ি থেকে ভিকটিমের চাচা ও ছোট ভাইকে মারতে মারতে ভালাইপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নিয়ে যায়। আসামিগন ভিকটিম ও ভিকটিমের চাচা এবং ছোট ভাইকে কাঠের বাটাম দিয়ে গুরুতর জখম করে। পরবর্তীতে ভিকটিম ও ভিকটিমের চাচা এবং ছোট ভাইকে মহেশপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক রাশেদ শেখকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় ভিকটিমের স্ত্রী বাদী হয়ে ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
ঘটনার বিষয়ে র্যাব-৬, ঝিনাইদহ ক্যাম্পের একটি চৌকস আভিযানিক দল আসামীদেরকে গ্রেফতারের লক্ষ্যে গোয়েন্দা তৎপরতা অব্যাহত রাখে। গ্রেপ্তারকৃত আসামীদেরকে ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুর থানায় হস্তান্তর হয়েছে।