ঝিনাইদহের শৈলকুপায় পৌর নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মেয়র প্রার্থী ও বিদ্রোহী মেয়র প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা, ধাওয়া- পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
এ সময় ৭ পুলিশ সদস্য আহত হয় বলে জানা যায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিতে পুলিশ ১২ রাউন্ড রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে। সরোয়ার নামে বিদ্রোহী প্রার্থীর ১ কর্মী কে মুমূর্ষু অবস্থায় ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।
আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী কাজী আশরাফুল আজমের অভিযোগ দল থেকে সদ্য বহিস্কৃত স্বতন্ত্র প্রার্থী তৈয়বুর রহমানের কর্মী-সমর্থকরা নৌকা মার্কার মিছিলে হামলা চালায়। তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করে মেয়র প্রার্থী তৈয়বুর রহমান বলেন নৌকা মার্কার মিছিল থেকে তার নির্বাচনী অফিসে হামলা চালানো হয়। এ সময় সরোয়ার নামে তার এক কর্মী গুরুতর আহত হয়।
স্থানীয়রা জানায়, গতকাল রবিবার সন্ধ্যার একটু আগে নৌকা মার্কার একটি মিছিল চৌরাস্থা হয়ে সরকারী ডিগ্রী কলেজ রোড দিয়ে যায়। এসময় সময় আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী তৈয়বুর রহমানের অফিস অতিক্রমের সময় উভয় মেয়র প্রার্থীর কর্মীদের মধ্যে ইট পাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে।
ঘটনাটি জানা জানি হলে আওয়ামী লীগ প্রার্থী কাজী আশরাফুল আজম ও বিদ্রোহী প্রার্থী তৈয়বুর রহমানের কর্মী-সমর্থকরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা ও ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ায় লিপ্ত হয়। এ সময় পুলিশ উভয় পক্ষকে ছত্রভঙ্গ করতে ১২ রাউন্ড ফাকা রাবার বুলেট নিক্ষেপ ও ফাঁকা গুলি ছোড়ে।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের সময় সংঘর্ষকারীদের ইটের আঘাতে ৭ পুলিশ সদস্য আহত হয় বলে পুলিশ দাবি করছে। সংঘর্ষের সময় গোলাম সরোয়ার নামে এক আওয়ামী লীগ কর্মী গুরুতর আহত হয়। তাকে শৈলকুপা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে বলে চিকিৎসক জানান।
আওয়ামী লীগের নৌকা মার্কার প্রার্থী কাজী আশরাফুল আজম বলেন, তার কর্মী সমর্থকরা একটি মিছিল নিয়ে কলেজ রোড দিয়ে যাওয়ার সময় দল থেকে বহিষ্কারের রাগে বিদ্রোহী প্রার্থী তৈয়বুর রহমানের কর্মী সমর্থকরা তার মিছিলের উপর হামলা চালায়।
এ হামলার কথা অস্বীকার করে বিদ্রোহী মেয়র প্রার্থী তৈয়বুর রহমান খান বলেন, নৌকা মার্কার মিছিল থেকে তার কলেজ রোডের স্কুল মার্কেটের নির্বাচনি অফিসে হামলা চালায়।
শৈলকুপা থানার ওসি তদন্ত মহসিন হোসেন জানান, আওয়ামী লীগ ও স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা ও ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিতে পুলিশ ১২ রাউন্ড ফাকা রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে। হামলাকারীদের ইটের আঘাতে ৭ পুলিশ সদস্য আহত হয় বলে ওসি (তদন্ত) জানান।