ঝিনাইদহ সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ৯নং পোড়াহাটী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম হিরন ও তার গাড়ীচালক আক্তার হোসেনকে কুপিয়ে ও পুড়িয়ে হত্যা করা হয়। হত্যার পর হিরন চেয়ারম্যানের লাশ শহরের কেন্দ্রস্থল পায়রা চত্বরে টাঙ্গিয়ে রাখা হয়। সেখানে দর্শকরা তার লাশে জুতা সেন্ডেল মারতে থাকে।
গতকাল সোমবার (৬ আগস্ট) সন্ধ্যা থেকে গভীর রাত পর্যন্ত এ ঘটনা ঘটায়। পরে তার লাশ মর্গে পাঠিয়ে দেয়া হয় বলে জানা গেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, বেলা ১২ টার দিকে আন্দোলনকারীরা শহরের স্টেডিয়াম পাড়ায় অবস্থিত শহিদুল ইসলাম হিরনের বাড়িতে ভাংচুর করতে যায়। সেসময় হিরন আন্দোলনকারীদের লক্ষ্য করে লাইসেন্সকৃত বন্দুক দিয়ে কয়েক রাউন্ডগুলি করে। এতে বেশ কয়েকজন হতাহত হয়। পরে আন্দোলনকারীরা তার বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয় ও তার ব্যক্তিগত গাড়ী চালক আক্তারকে কুপিয়ে যখম করে। আক্তারকে সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে। বাড়ির ৩য় তলায় অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে হিরন। সন্ধ্যায় আগুনে পুড়ে মারা গেলে আন্দোলনকারীরা তার ঘরের দরজা ভেঙ্গে তার লাশ বের করে শহরের কেন্দ্রস্থল পায়রা চত্বরে এনে টাঙ্গিয়ে রাখে। এসময় তার লাশের উপর আন্দোলনকারীরা জুতা সেন্ডেল দিয়ে মারতে থাকে। পের সেখান থেকে গভীর রাতে লাশ ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।
অপরদিকে কালীগঞ্জ উপজেলা সাবেক ছাত্রলীগ নেতা জুয়েলের বাড়িতে আগুন দিতে গিয়ে পুড়ে মারা গেছে ২ আন্দোলনকারী। সোমবার বিকেলে কালীগঞ্জ উপজেলার ঢাকালে পাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। স্থানীয়রা জানায়, শেখ হাসিনা’র দেশ ত্যাগের ঘটনার পর কিছু বিক্ষুব্ধ জনতা বিকালে কালীগঞ্জ উপজেলা শহরের ঢাকালে পাড়া এলাকার জুয়েল নামের এক ব্যক্তির বাড়িতে আগুন দেয়। এর মধ্যে রাব্বি ও মুজাহিদ নামে দুই আন্দোলনকারী ওই বাড়ির দ্বিতীয় তলায় আগুন ধরাতে গেলে তারা আর নিচে নামতে পারেনি। ফলে সেখানেই পুড়ে তাদের মৃত্যু হয়। মৃত রাব্বির বাড়ি ওই উপজেলার ফয়লা ও মুজাহিদের বাড়ি খয়েরতলা এলাকায় বলে জানা গেছে।