ঝিনাইদহ সড়ক ও জনপথ বিভাগের সরকারি কোয়ার্টারের মধ্যে দোকন নির্মান করে বিক্রয় ও গোডাউন, কোয়াটারের বাসা ভাড়া দিয়ে রমরমা ভাড়া বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে। খোজ নিয়ে জানা যায়, বছরের পর বছর সওজ’র বর্তমান এক কর্মচারি ও সাবেক এক কর্মচারি ও সন্তানরা এ অর্থ বাণিজ্যে করে আসছে।
সরোজমিনে অনুসন্ধানে গিয়ে দেখা যায়, ঝিনাইদহ শহরের উপশহর পাড়ায় সড়ক ও জনপথ বিভাগের সেমি পাকা একটি কোয়ার্টার রয়েছে। নিয়ম অনুযায়ি সংশিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তা ও কর্মচারি ব্যতিত বহিরাগতরা ব্যবহার বা থাকতে পারিবে না। সরোজমিনে দেখা যায়, কোয়াটারের মধ্যে ৬টি ফ্লাট, ১টি গোডাউন, ২টি দোকার ঘর রয়েছে। এর মধ্যে ৩টি ফ্লাটে বর্তমানে কর্মরত তিন কর্মচারি আরিফুল ইসলাম, জহিরুল ইসলাম ও আজিজুল ইসলাম বসবাস করেন।
অন্য ৩টি ফ্লাটের মধ্যে একটিতে সাবেক কর্মচারি মৃত শফিক উদ্দিনের পরিবার মানবিক বিবেচনায় বসবাস করে আসছে। অভিযোগ উঠেছে অন্য দুইটি ফ্লাটের একটিতে কর্মচারি না হয়েও শুধু মাত্র জহিরুল ও আজিজুল এর ভাই হওয়ার সুবাধে জাহিদুল ইসলাম নামে একজন বসবাস করছে।
অপর ফ্লাটটি সওজ’র বর্তমানে অফিস সহকারি ও কাম টাইপিষ্ট মোখলেছুর রহমান বহিরাগত একজনের নিকট প্রায় দুই বছর যাবৎ ভাড়া দিয়ে রেখেছেন। সেখান থেকে তিনি প্রতি মাসে ২হাজার টাকা করে ভাড়া আদায় করে থাকেন। এখানেই শেষ নয় মোখলেছুর রহমান ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে সরকারি কাজে ব্যবহৃত গোডাউন বছরের পর বছর বহিরাগতদের নিকট ভাড়া দিয়েছেন।
বর্তমানে গোডাউনটি কোয়ার্টার সংলগ্ন মামুন নামে এক ভাংড়ি ব্যবসায়ীর নিকট ১বছর মেয়াদি ১০হাজার টাকায় ভাড়া দিয়েছেন। অনুসন্ধানে আরো জানা যায়, সওজ’র আরেক কর্মচারি শফিক উদ্দিন কোয়াটারের জায়গায় অবৈধ ভাবে সেমি পাকা দুইটি দোকান ঘর নির্মান করেন। এর মধ্যে একটি দোকান শফিক উদ্দিন আলমগীর হোসেন নামে একজনের নিকট বিক্রয় করেন। যা পরবর্তিতে আলমগীরে কাছ থেকে প্রায় একযুগ আগে শাহাদত হোসেন নামে এক প্লাস্টিক ব্যবসায়ী ক্রয় করে গোডাউন হিসাবে ব্যবহার করছে।
সাবেক কর্মচারি শফিক উদ্দিন মারা যাবার পর মানবিক বিবেচনায় তার বিধবা স্ত্রী, সন্তানদের থাকতে দেওয়া হয়। কিন্তু এ সুযোগ ব্যবহার করে মৃত শফিকের ছেলে হারুন অপর দোকান ঘরটি দীর্ঘ দিন ধরে ভাড়া দিয়ে আসছেন। বর্তমানে ১০হাজার টাকার চুক্তিতে প্রতি মাসে ৫০০টাকা করে এই দোকান ভাড়া বাবদ অর্থ আদায় করছেন।
কোয়াটারের বাসা ও গোডাউন ভাড়া দেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে সড়ক ও জনপথ বিভাগের অফিস সহকারি ও কাম টাইপিষ্ট মোখলেছুর রহমান বলেন, আমি গোডাউর ভাড়া দেয়নি। আর বাসা ভাড়া দেওয়ার বিষয়ে বলেন, ভাড়াটিয়াকে বলে দিয়েছি আগামী মাসে বাসা ছেড়ে দিতে।
কোয়াটারের দেখাশোনার দায়িত্বে থাকা ঝিনাইদহ সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মুকুর জ্যোতি বসু বলেন, আমি নতুন এসেছি। বিষয়টি আমার জানা নেই। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।