আগামী ১৫জুন ঝিনাইদহ পৌরভার নির্বাচন উপলক্ষে ঝিনাইদহে কর্মরত প্রিন্ট ও ইলেকট্রোনিক্স মিডিয়ার সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় ও নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করেন পৌরসভার স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী কাইয়ুম শাহরিয়ার জাহেদী হিজল।
রবিবার সকাল সাড়ে ১১টায় শহরের আহার রেষ্টুরেন্টে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। মেয়র প্রার্থী হিজল অসুস্থ থাকায় তার ভাই লতিফ শাহরিয়ার জাহেদী প্রজ্জ্বল সাংবাদিকদের সামনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন।
লিখিত বক্তব্যে বলেন মনোনয়ন পত্র দাখিল করার আগেই গত ১৫মে আমার বসত বাড়ী ও ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানে সন্ত্রাসী হামলা , ভাংচুর ও লুটপাট করা হয়। এরপর একটি রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে এই ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করে আনুষ্ঠিানিক ভাবে ক্ষমা প্রার্থনা করা হয়।
আমরা বিষয়টি ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখলেও পরক্ষণে আমার নির্বাচনী প্রচারাভিযানে নৌকা প্রতিকের কর্মীরা আমার মাইক ভাংচুর করে, যা আপনাদের মাধ্যমে ঝিনাইদহসহ দেশবাসী আবগত হয়। এ অবস্থায় ১জুন আমার কর্মী সমর্থক নিয়ে নারকেল গাছ মার্কার প্রচরাভিযান চলা কালে প্রতিপক্ষ নৌকার কর্মী সমর্থকরা আমাকে হত্যার উদ্দশ্যে হামলা চালায় এতে আমি ও আমার ভাই পিপুল সহ আমার ১০/১২কর্মী সমর্থকে মারত্মক ভাবে আহত করে। ঘটনাটি কোর্ট পর্যন্ত গড়াই এবং উল্টো আমাদের নামে মিথ্য মামলা দিয়ে হয়রানী করে। এক সপ্তাহ ধরে আমি উন্নত চিকিৎসা গ্রহন করে এখন কিছুটা সুস্থ।
এই সংকটকালীন সময়ে আমার অনুপস্থিতিতে আমার পক্ষ হয়ে কর্মী সমর্থকরা যারা ভোট চেয়েছে তাদেরকেও হুমকী, বা বিভিন্ন ভাবে ভয় ভীতি প্রদর্শণ করা হচ্ছে।
মতবিনিময় সভায় তিনি জানান আমি একটি সন্ত্রাস মুক্ত, পেশি শক্তি মুক্ত অবাধ সুষ্ঠু নিরপেক্ষ গ্রহণযোগ্য শান্তিপূর্ণ নির্বাচন আশাকরি। তিনি নির্বাচনে জয়ের ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। নির্বাচন কমিশনের নিকট সুষ্ঠ নির্বাচনের জন্য জোর দাবি জানান এবং সকলের সহযোগী কামনা করেন।
লিখিত বক্তব্য শেষে তার নির্বাচনের ইশতেহার গণমাধ্যম কর্মীদের হাতে তুলেদেন। ইশতেহারে তিনি উল্লেখ করেন নির্বাচিত হলে পরামর্শক কমিটি গঠন করে ত্রৈমাসিক নাগরিক সভার মাধ্যমে নাগরিকদের খোজ খবর নেবেন, এছাড়া খাদ্য, স্বাস্থ্য, চিকিৎসা, বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ, ট্যাক্স না বাড়িয়ে সেবার মান বৃদ্ধি, মাদক ও সন্ত্রাসমুক্ত নগর গড়ে তোলা, পয়ঃনিষ্কাশন ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনার উন্নয়ন, সাংস্কৃাতিক কর্মকান্ড ও খেলাধুলার বিকাশ সাধন, কর্মমূখী শিক্ষা ও দক্ষ জনশক্তি তৈরী, বিনামূল্যে তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহারের সুযোগ সৃষ্টি, নারী উন্নয়ন ও অধিকার প্রষ্ঠিায় সহযোগীতা, অবকাঠামো উন্নয়নসহ ১৩ দফা ইশতেহার ঘোষণা করেন। এ সময় ঝিনাইদহের সুশিল সমাজের ব্যক্তিবর্গ এবং গণ মাধ্যম কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।